আইটেম গানে শতভাগ সাহসী দেখা যাবে : ইমি

Emi

বাংলাদেশের র‌্যাম্প মডেলিংয় এরিনায় একজন আইকন শাবনাজ সাদিয়া ইমি। ইমি নামেই যিনি সমাধিক পরিচিত। পাশাপাশি তিনি একজন অভিনেত্রীও। মিস বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় তাকে দেখা গেছে বিচারকের আসনেও। বার্তাসংস্থা পিবিএ-এর পক্ষ থেকে র‌্যাম্প মডেলিং এবং মিডিয়ার নানা প্রসঙ্গে তার সঙ্গে কথা বলেছেন জিয়াউল জিয়া

প্রশ্ন : আপনার বর্তমান ব্যস্ততা কি নিয়ে?

ইমি : একটা ৭ পর্বের ওয়েব সিরিজ করলাম। থ্রিলার এবং ক্রাইমের সংমিশ্রণের গল্পের এই ওয়েব সিরিজের নাম ‘কাকতালীয়’। পাশাপাশি বেশ কিছু ফ্যাশন শো’র প্রস্তুতির কাজ চলছে। কিছু সিঙ্গেল নাটকের অফার রয়েছে। গল্প পড়ে দেখছি। ভাল লাগলে এবং সময় বের করতে পারলে করবো হয়তো। তবে, এ মুহূর্তে সবচেয়ে ব্যস্ত আমি আমার ফেসবুক পেজ সাজানোর কাজে। বেশ সময় নিয়ে করছি এটা। অঅমি যেই লেভেলের আর্টিস্ট পেজে যেন সেটা প্রতিফলন ঘটে তার চেষ্টায় কোন ত্রুটি রাখছি না।

প্রশ্ন : আপনার নামের সঙ্গে আর একটি নাম সুপরিচিত। তিনি হলেন আজরা মাহমুদ। বাকি কেউ আর সেভাবে দাঁড়াতে পারেনি। এটা কেন হয়েছে মনে হয় ?

ইমি : আমি বা আজরা, আমরা জানতাম যে আমরা কি চাই। আমাদের একটা গোল ছিল। আমদের কাছে র‌্যাম্পটা ছিল ভীষণ আপন একটা যায়গা। আমরা এটাকে ঘিরেই নিজেদের স্টাবলিষ্ট করতে চেয়েছি। দিন-রাত শ্রম দিয়েছি। টাকা-পয়সার কথা কখনো ভাবিনি। যে কারণে আমরা এখান থেকে সম্মান কুড়াতে পেরেছি। কিন্তু অন্যরা এই যায়গাটাকে আসলে সেভাবে দেখেনি। তারা এসেছে নামের সঙ্গে ‘মডেল’ শব্দটা যুক্ত করতে। তাদের চিন্তা কিছু শো করবে তারপর নাটক, ফিল্ম করবে ইত্যাদি ইত্যাদি। যেহেতু সামনে ওদের তেমন কোন গোল নেই, এক যায়গায় লেগে থাকার মানসিকতা নেই তাই প্রাপ্তিও সীমিত।

প্রশ্ন : আপনার ইনফ্লুয়েন্স কে?

ইমি: দেশের মধ্যে অবশ্যই বিবি আন্টি (বিবি রাসেল)। দেশের বাইরে ভারতের একটা প্রভাব কাজ করে। সেটার একটা টাইম বেসিস রয়েছে। নব্বই দশকের ইন্ডিয়ান মডেলদের আমার দারুণ লাগতো। অনুপ্রেরণা পেতাম ওদের কাজ দেখে। টিভি পর্দায় যেমন সাদিয়া ইসলাম মৌ’কে ভাললাগতো। ব্যাস, এইতো।

প্রশ্ন : র‌্যাম্প মডেলিং পেশা হিসেবে নেওয়া সম্ভব?

ইমি : এখন সম্ভব। এখন তো অনেক দেশী ব্রান্ড। অনেক শো হচ্ছে। যেকারণে এক্ষেত্রে মডেল সংকট রয়েছে বলা যায়। আমাদের সময় তো ফ্যাশন ইন্ডাষ্ট্রি ভিত্তির ওপরে দাঁড়ানো ছিল না। তখন এক্ষেত্রে কাজ শুরু হয়েছে মাত্র। খুব কম শো হতো। বিবি আন্টি ব্যক্তিগতভাবেই সেগুলো আয়োজন করতেন। এখন তো ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি অনেক বড় এবং গোছানো। তাই এখন তো পেশা হিসেবে নেওয়াই যায়।

Emi

 

প্রশ্ন : অনেকে বলেন র‌্যাম্প মডেলদের মধ্যে ডিসিপ্লিনের অভাব রয়েছে। এই অভিযোগ সত্যি?

ইমি : পুরোপুরি মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন। আমাদের র‌্যাম্পে নয়টায় শুরু হবে মানে ঠিক নয়টায় শুরু হবে। আমাদের হাজির হওয়া, মেকআপ নেওয়া, পোষাক চেঞ্জ করা, রিহার্সেল করা-সবকিছুতে ইনটাইম হাজির থাকতে হয়। কেউ লেট করলে তাকে মার্ক করে রাখা হয়। সে থাকে ওয়েটিং লিস্টে। তাই এই অভিযোগ পুরোপুরি অসত্য। বরং নাটক বা ফিল্মে আমি দেখি ডিসিপ্লিনের অভাব। সকাল ৮টায় কল টাইম দিয়ে সেটে হাজির করায়। তারপর কাজ শুরু হয় ১০টায়। যারা স্বনামধন্য তারা তো আসেন তাদের ইচ্ছে মতো সময়ে। র‌্যাম্পে এসব করার সুযোগ নেই।

প্রশ্ন : আপনি ফিল্মে অনুপস্থিত কেন?

ইমি : ফিল্মের ক্ষেত্রে কাজের পরিবেশ আমার ভাল লাগতো না। তাই এতদিন করা হয়ে ওঠেনি। এখন পরিস্থিতি বদলেছে। ভাল ফিল্ম হচ্ছে। তবে প্রথমেই ছবির শ্রেষ্ঠাংশে কাজ করার ইচ্ছে নেই। তবে আইটেম সং করার ইচ্ছে আছে। তারপর সময় পেলে বড় চরিত্রে কাজ করবো।

প্রশ্ন : আইটেম গানে কতোটা সাহসী দেখা যাবে আপনাকে?

ইমি : শতভাগ সাহসী দেখা যাবে। আমি হট ড্রেস পরবো। কোন সমস্যা নেই। মন খুলে নাচবো। তবে সেটা অশালীন কিছু হবে না। আমাদের দর্শকরা ক্যাটরিনা আইটেম গান দেখে যে রকম বিনোদন লাভ করে, আমার ক্ষেত্রেও তেমনই বিনোদন পাবেন। কারণ, আমার কাছে ‘সাহসী’ শব্দটার ভিন্ন অর্থ। আগে কেউ করেনি এমন কিছু করতে চাই। তবে সেটা অবশ্যই একটা সীমারেখার মধ্যে থেকে।

Emi

প্রশ্ন : রাজনীতিতে আসার ইচ্ছে আছে?

ইমি : আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে বলিউড এবং টালিগহ্ঝে স্বনামধণ্য অভিনেতারা রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন। এবারের সংসদ নির্বাচনে আমাদের দেশেও এই প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। তবে, আমি যদি কখনো তেম কোন অবস্থানে যেতে পারি যেখানে জনগনই আমাকে পার্লামেন্টে দেখতে চায় তবে অবশ্যই আসবো। নিজের স্বার্থে কখনোই আসার ইচ্ছে নেই।

আরও পড়ুন...