করোনায় কুবি শিক্ষার্থীদের পাশে ‘সিপিএ’ টিম

পিবিএ,কুবি: মহামারী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশব্যাপী চলছে লকডাউন। এতে নিম্ন আয়ের অসহায় মানুষের ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে। তবে সেই অসহায় শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাড়িয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) একদল স্বেচ্ছাসেবী তরুন। নাম দিয়েছে ‘সিপিএ’ তথা কুবিয়ানদের পাশে আমরা। এতে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েকজন।

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে খাদ্য সংকটে থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ টি পরিবারকে অন্তত ১০ দিনের খাবারের ব্যবস্থা করার সমপরিমাণ টাকার সহায়তা প্রদান করেছে দলটি। তবে আরও বেশি সহায়তা করতে হলে প্রয়োজন বেশি পরিমাণে অনুদান। যা সাহস যোগাবে দলের কর্মীদের। তাদের এ কাজে অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যবৃন্দ। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এসেছে সহযোগিতা করতে। আর সবার থেকে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সহযোগিতা পাচ্ছে বলে দাবি করেন সিপিএ দলের স্বেচ্ছাসেবীরা। তারা ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপের মাধ্যমে এবং বিভাগগুলোতে খোঁজ নিয়ে সমস্যায় থাকা শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করে সহযোগিতা করছেন বলে জানান তাঁরা।

সিপিএ টিমের বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ৫ম ব্যাচের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম ইমু বলেন,‘নিজের ঘরে নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে গেলেও অন্যের বিপদে এগিয়ে আসা বাঙ্গালির ঐতিহ্যগত অভ্যাস। ঈচঅ টিম সমন্বয়ের কাজটা করলেও পরিবারের এক সদস্যের বিপদে অন্য সদস্য যেভাবে এগিয়ে আসছে এটাই মূলত প্রশংসার দাবিদার। যে যার সমস্যাটা নিঃসংকোচে শেয়ার করলে, সবাই একে অন্যের দ্বিধাহীনভাবে পাশে থাকলে কুবি পরিবারের কোন সদস্য এই সংকটে সমস্যায় থাকবেনা বলে বিশ্বাস করি।’

সিপিএ টিমের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ৪র্থ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ তারেক রহমান জানান,‘মানুষের জন্য কাজ করতে পারাটা আমার জন্য সৌভাগ্যের, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করতে পারার অনুভূতিটা বলে বুঝাতে পারব না। আমাদের এই সেবাটাতে সরাসরি শিক্ষার্থীদের সাথে দাতার সম্পর্ক করে দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা বড় ফান্ড গঠনের চেয়ে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীর পরিবারকে সাহায্য করার প্রায়াস নিয়ে কাজ করছি।’

সিপিএ টিমের সমন্বয়ক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের মহামারীতে সবার স্বাভাবিক কার্যক্রম একেবারেই স্তিমিত হয়ে পড়েছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও অনেকেরই পরিবার এ সমস্যার কারণে সংকটে রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি যাদের সমস্যা তাদের জন্য সামর্থ্যবানরা যাতে এগিয়ে আসে। আমরা গত তিন দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থীর পরিবারের জন্য নূন্যতম ১০ দিনের খাবারের ব্যবস্থা হয় এমন টাকা সংগ্রহ করে দিয়েছি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষার্থীরা এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরের অনেকেও এগিয়ে এসেছে। সবার সহযোগিতা পেলে আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের সংকটে পাশে দাঁড়াতে পারবো। তাই সবার সহযোগিতা চাচ্ছি। ’

পিবিএ/মোঃ জাহিদুল ইসলাম/এমএসএম

আরও পড়ুন...