সাহাজুল সাজু,মেহেরপুর : মেহেরপুরে গাংনী উপজেলার ধানখোলা গ্রামে এক কৃষকের ১২ কাঠা জমির শিম ক্ষেত প্রকাশ্যে কেটে বিনষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এমন করোনা মহামারির সময় একজন দরিদ্র কৃষকের সবজি ক্ষেত বিনষ্ট করার ঘটনায় এলাকার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
গত সোমবার দিন-দুপুরে ধানখোলা গ্রামের ইকলাস আলীর ছেলে তোফাজ্জেল হক ও তার লোকজন একই গ্রামের মুনসুর আলীর ছেলে ফজলুল হকের শিম ক্ষেত কেটে বিনষ্ট করেন।
কৃষক ফজলুল হক অভিযোগ করেন, ধানখোলা গ্রামের হিদাত মুন্সীর সাথে একই গ্রামের ইকলাস আলীদের ওই জমিসহ বেশ কয়েক বিঘা জমি নিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত মামলা চলে আসছে। ইতোমধ্যে হিদাত মুন্সীর নামে ২৭ ও ৬২ সালে ওই জমি রেকর্ড রয়েছে। হিদাত মুন্সী মারা যাওয়ার পর তার ছেলে ও নাতি-নাতনীরা জমি দখল করে আবাদ করে আসছিল। কয়েক বছর আগে আমি ১২ কাঠা জমি হিদাত মুন্সীর নাতি ছেলে সাবান আলীর কাছ থেকে ক্রয় করি। ক্রয় করার পর থেকে ওই জমিতে বিভিন্ন চাষাবাদ করে আসছিলাম। কয়েক মাস আগে জমিতে ছিম গাছ লাগাই। বর্তমান গাছে ব্যাপক ছিম এসেছিল। কিন্তু এখন ইকলাসের ছেলে তোফাজ্জেলসহ তাদের আত্মীয়-স্বজন ছিম ক্ষেতের জমিটি তাদের বলে দাবি করে প্রকাশ্যে-দিবালোকে ছিম ক্ষেত কেটে বিনষ্ট করেছে। আমি তাদের প্রতিবাদ করতে গেলে দেশীয় অস্ত্র-পাতি নিয়ে তারা আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। বর্তমান প্রাণ ভয়ে ওই জমির উপর যেতে পারছিনা।
শিম গাছের সাথে কি শত্রুতা তোফাজ্জেল হকের কাছে জানতে চাইলে, তিনি এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
তবে তিনি জানান, আমরা কোর্টের মামলার রায়ে ওই জমি ৪ বার পেয়েছি। প্রতিপক্ষ মামলা আপিল করে টালবাহানা করছে।
এ ব্যাপারে জমির মালিক সাবান আলী বলেন, জমির বিরোধ মানুষে মানুষে। শিম গাছ কি দোষ করলো। তিনি গাংনী থানায় তোফাজ্জেল হকসহ তাদের লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।
পিবিএ/ সাহাজুল সাজু/মোআ