পিবিএ,ঢাকা: দেশের পোশাক শ্রমিকদের নিয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন মরন খেলা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মন্তব্য করেছে পোষাক কারখানা মালিকদের কোন হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে, কোনো শ্রমিক ভাই-বোন এবং দেশের অন্য কেউ নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়, তাহলে এর যাবতীয় দায় দায়িত্ব তাদেরকেই বহন করতে হবে।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ আহ্বান জানিয়েছেন।
তারা বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঘোষণা অনুযায়ী ‘সারাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ’, তাহলে এই ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় মালিকরা কিভাবে পোষাক কারখানা চালু রাখবে? করোনার মত ভয়াবহ ব্যাধি মোকাবেলায় সরকারসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যখন হিমশিম খাচ্ছে তখন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক কি করে ২৬ এপ্রিল থেকে পোশাক কারখানা চালু রাখতে শ্রমিকদের ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, রংপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকা, সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ শিল্পাঞ্চলে পরিবহনের জন্য বিআরটিসি চেয়ারম্যান বরাবর বাস চেয়ে চিঠি দিতে পারেন ? তাহলে তারা কি মানুষের জীবনের চাইতে তাদের অর্থ উপার্জনকেই গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন ? তারা এই হটাকারী সিদ্ধান্ত নেবার দু:শাহস দেখায় কিভাবে ?
নেতৃদ্বয় বলেন, আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে সাধারণ ছুটি। দেশের পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে আরো খারাপের দিকে। পরিস্থিতি উন্নতি না হলে হয়তো ছুটি আরও বাড়তেও পারে। যার কিছুটা আঁচ পাওয়া যায়, রমজানে তারাবির নামাজ ঘরে পড়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতি আহ্বানের মধ্য দিয়ে। এরই মধ্যে বিজিএমইএ’র সভাপতি শ্রমিকদের আনেত ২০ এপ্রিলের পর পরিবহনের ব্যাবস্থার যে চিঠি দিয়েছেন তা কি হটকারী ও আত্মঘাতি নয় ?
তারা আরো বলেন, করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সংক্রমণের চতুর্থ ধাপে দেশ পৌঁছেছে তখন ২৬ এপ্রিল থেকে পোশোক কারখানা চালুর সরকার ও মালিকদের ঘোষণা গোটা দেশকে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে। ফলে সরকারকে এহেন বিপদজনক সিদ্ধান্ত বাতিল করে কারখানা এখনই চালু না করার যথাযথ ও কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের তথা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের কোন প্রকার উদাসিনতা ও অপরিণামদর্শিতা দেশকে ভয়ঙ্কর অবস্থার দিকে ঠেলে দিতে পারে।
নেতৃদ্বয় বলেন, ইতিমধ্যে সরকার দলীয় সংকীর্ণতা ও একগুয়েমী মনোভাবের কারণে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। অন্যদিকে, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দফতরের সমন্বয়হীনতা ও অস্থিরতার চিত্রও দেশবাসীর সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
পিবিএ/এমএসএম