শতাব্দী আলম, টঙ্গী থেকে ফিরে : জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গণমানুষের বন্ধু। দেশের যে কোন ক্রান্তিলগ্নে ছাত্রলীগের তরুণ যুবকরাই সর্বাগ্রে ঝাপিয়ে পরেছে। আর প্রয়োজনে রুখে দাড়িয়েছে অন্যায়ের প্রতিবাদে।
করোনা-কালের প্রার্দূভাবে সবাই যখন লকডাউনে ঘর বন্দী, পরিবহন সংকটে শ্রমিক আসছে না। তখন ছাত্রলীগ কাস্তে হাতে নেমে পরলো মাঠে।
আর বিশ্ব তথা দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে একজন মমতাময়ী অভিবাবকতো আমাদের রয়েছেনই। বিশ্ব তাঁকে মানবতার জননী আখ্যা দিয়েছে। আমি তাকে ‘বিশ্ব জননী’ উপাধিতে সম্বোধন করি। বঙ্গবন্ধু কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একটি ডাকেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কাস্তে হাতে ধান কাটতে নেমে পরেছে।
গণমাধ্যমে জানতে পারলাম, প্রথমে কক্সবাজারে তারপর একে একে শ্রীপুর,কাপাসিয়া, নবাবগঞ্জ আর নিজে চক্ষে দেখলাম টঙ্গীতে।
আজ গাজীপুরার ৫০ নং ওয়ার্ডের বর্গাচাষি বাবুল মাতব্বরের জমিতে ধান কেটেছে তারা। মাতব্বরের দুই বিঘা জমির বোরোধান পেকে মাটিতে শুয়ে পড়েছে। অপরদিকে বিলে বৃষ্টির পানি জমতেছে। অথচ তিনি ধান কাটতে লোক পাচ্ছেন না, এমন সংবাদ পেয়ে টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের ৪০ জন নেতাকর্মী সকাল থেকে কাজ করে তার ক্ষেতের ধান কেটে মাড়াই করে দিয়েছেন।
এ যেন অন্য এক ছাত্রলীগ। টগবগে তরুণ। বাঙালির ক্ষুধা নিবারনের প্রধান খাদ্যশষ্য ধান কাটছে। এ কেবলই ধান কাটা নয়। মানব সভ্যতা টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম। মাটির কাছাকাছি প্রান্তিক মানুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাবার সংগ্রাম। এদের আজ একটাই বড় পরিচয়। দেশপ্রেমিক। মানবতার সংগ্রামী।
এটাও মানতে হবে, শেখ হাসিনা স্থানীয়ভাবে সারাদেশেই অত্যন্ত মেধাবী এবং জনদরদী কিছু নেতা গড়ে তুলছেন। গাজীপুরে তেমন কয়েকজন আছেন। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল তেমনি একজন। যিনি মন্ত্রণালয়ের শত ব্যস্ততার মাঝেও নিয়মিত এলাকার মানুষের খোঁজ খবর রাখেন। বিপদে আপদে পাশে দাড়ান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে সাথে সাথে টঙ্গী থানার ছাত্রলীগকে মাঠে ধান কাটার জন্য নামিয়ে দিয়েছেন।
কথা হয় দোহার নবাবগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযুদ্ধা এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোঃ আনোয়ার হোসেনের সাথে তিনি বললেন, তিনি যখন যুদ্ধে গিয়েছিলেন তখন ছাত্রলীগ করতেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেন। করোনার প্রার্দূভাবেবিশ্ব যখন মানবতার যুদ্ধে লিপ্ত। তখন মানবতার জননী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সারা দিয়ে ছাত্রলীগ মানুষের সেবায় ঝাপিয়ে পরেছে। মানুষের পাশে দাড়িয়েছে। ধান কাটছে, কখনো মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিচ্ছে। এটাই ছাত্রলীগের ঐতিহ্য। তিনি আরো বলেন, করোনাকালের এই মানসিকতা আগামি দিনগুলোতে ছাত্রলীগকে আরো সুগঠিত করবে।
যুব ও ক্রিড়া প্রতিমন্ত্রী নিজেও একজন যুবক। এমন তারুণ্যদ্বীপ্ত কাজে তার বরাবরই আগ্রহ বেশী। তিনি বলেন, সারাদেশে আমাদের তরুণ যুবক শ্রেনী কৃষকের ধান কাটায় নিয়োজিত থাকবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক প্রতিটি উপজেলা ও কলেজ ছাত্রলীগসহ ক্রীড়ামোদি যুবকরা ধান কাটায় কৃষকদের সহযোগীতা করবে।
পিবিএ/মোআ