পিবিএ,উলিপুর: কুড়িগ্রামের উলিপুরে দিগনÍ মাঠ জুরে সবুজের সমারোহ। এরই মধ্যে আগাম রোপনকৃত বেশিরভাগ ক্ষেতের ধান পাকতে শুরু করেছে। আর মাত্র কয়েকটা দিন আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে সবুজের সমারোহ কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক ফোটাচ্ছে। পরিবেশ অনুকুলে থাকায় এবারে তেমন কোন রোগ-বালাই না হওয়ায় উৎপাদন খরচও কম হবে।
কৃষি বিভাগের দাবি, চলতি মৌসুমে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। সারাদেশে করোনা ভাইরাস আতংঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও কৃষকরা জমির ক্ষেতের পরিচর্যার কোন কমতি করছেন না। অনেক কৃষক মোবাইল ফোনে কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে রোগ-বালাই দমনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ২৮ হজাার ১২৯ হেক্টর আবাদি জমির মধ্যে চলতি বোরো মৌসুমে ২১ হাজার ৫শত ৭৫ হেক্টর জমিতে উফসি, হাইব্রিড ও স্থানীয় জাতের ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৫ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে উফসি, ৫ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ও ৭৫ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। এছাড়া ৫১০ হেক্টর জমিতে গম, ৪৫০ হেক্টর জমিতে ভূট্টা, ১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা, ৮০৫ হেক্টর জমিতে আলু, ২৮৫ হেক্টর জমিতে পিঁয়াজ ও শাক-সবজি সহ মৌসুমী ফসল চাষাবাদ করা হয়েছে ১ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে।
উপজেলার ধামশ্রেনী ইউনিয়নের বর্গা চাষী বাদশা মিয়া বলেন, ২ বিঘা জমিতে স্থানীয় ও হাইব্রিড জাতের ধান চাষাবাদ করেছি। ফলনও ভাল হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করে লাভের আশা করছেন তিনি।
দলদলিয়া ইউনিয়নের কৃষক ফয়জার আলী বলেন, তার জমিতে পোকার আক্রমন হলে, তিনি উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার সাথে মোবাইল ফোনে পরামর্শ নিয়ে ধান ক্ষেতে কীটনাশক স্প্রে করেছেন। বিদ্যূৎয়ের লোডশেডিং না থাকায় সেচ দিতে পারছেন নিয়মিত।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। এসময় তারা বলেন, সারাদেশে করোনা ভাইরাস আতংঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও ক্ষেতের পরিচর্যায় তারা কোন কমতি করছেন না। এসব কৃষকের আশা পরিবেশ অনুকুলে থাকলে চলতি মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, কৃষকরা চাষাবাদে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে সুফল পেতে শুরু করেছে। আশা করছি চলতি মৌসুমে উপজেলায় বোরো ধানসহ সব ফসলের বাম্পার ফলন পাবেন।
পিবিএ/রোকনুজ্জামান মানু/বিএইচ