মো. রাকিবুল হাসান, গণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে : করোনা মহামারির এই সময় সাভারে এক মাসের ঘর ভাড়া মওকুফ করে দিয়ে মানবিকতার ব্যতিক্রম উদাহরণ গড়েছেন সাভারের এক বাড়ির মালিক।
নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের কথা চিন্তা করে ভাড়া মওকুফ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এই ধরনের কঠিন পরিস্থিতিতে বাড়ির মালিকের উদার মানসিকতায় খুশি ভাড়াটিয়ারা।
সাভারের নিরিবিলি এলাকায় পরিবারের সদস্য নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন শতাধিক পোষাক শ্রমিক। গত এক মাস ধরে তাদের কারখানা বন্ধ থাকায় স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে কঠিন সময় পার করছেন তারা। শুধু পোষাক শ্রমিক নয় বেশির ভাগ নিম্ন আয়ের পরিবারের একই ধরনের চিত্র।
এক মাস ধরে ঘর থেকে বের হতে না পারা ও কাজ কর্ম বন্ধ থাকায় অভাব অনটনে বেহাল অবস্থা সবার। এমন পরিস্থিতিতে মানবিক কারণে এক মাসের বাড়ি ভাড়া না নেওয়ার ঘোষণায় দারুণ খুশি নিরিবিলি এলাকার অর্ধশতাধিক মানুষ।
ভাড়াটিয়া বলেন, রমজান মাসের ভাড়া মওকুফ করে দিছে বাড়িওয়ালা। ওনাকে অনকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাড়া যতটুকু মওকুফ করছে। তার জন্য অনেক সুবিধা হচ্ছে। কারণ এখন চলাটাই অনেক কষ্ট।
শুধু নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য নয়, গণ বিশ্ববিদ্যালয় ও গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করেও এক মাসের বাড়ি ভাড়া না নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে উদারতা দেখিয়েছেন নিরিবিলি এলাকার সেই বাড়ির মালিক।
এমন দুঃসময়ে এধরণের সাহায্য পেয়ে খুশি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। বিপদের এই সময়ে মানবিক কারণে ভাড়াটিয়াদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানান বাড়ির মালিক আক্তার হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আমার বাসার অধিকাংশ ভাড়াটিয়া হচ্ছেন গার্মেন্টস কর্মী। তারা এখনও বেতন পাচ্ছে না। আবার রহমতের মাহে রমজানও শুরু হয়েছে। তাই তাদের বাস্তবতার বিষয়টি মাথায় রেখেই আমি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’
জানা যায়, বাড়ির মালিক অর্ধশতাধিক ভাড়াটিয়ার মে মাসের ঘর ভাড়া না নেওয়া ঘোষণা দিয়েছেন। শুধু বাড়ি ভাড়া নয়, দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ থাকায় দোকান ভাড়াও বন্ধ করেছে অনেকে।
এদের মতো নগরীর অন্যান্য বাড়ির মালিকেরা যারা আছেন। তারাও তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে আসবে বলে মনে করেন সকলে।
পিবিএ/মো. রাকিবুল হাসান/এমএ