‘করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে, একজন মানুষও যেন অনাহারে না থাকে।’ রাজধানীতে সচিবালয়ে রোববার দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেছেন।
সীমিত পরিসরে অফিস খোলার প্রথম দিন অনলাইনে গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় তথ্যসচিব কামরুন নাহার, প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার ও মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে যাতে এ বিশেষ পরিস্থিতিতে যারা দিন এনে দিন খায়, যারা দরিদ্র, তাদের অসুবিধা না হয়। সরকারের পাশাপশি বিত্তবান, দয়ালু ও সমাজসেবীরাও এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারাও সারা দেশে দরিদ্র মানুষের সহায়তা এগিয়ে এসেছে।
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য একজন মানুষও যেন অনাহারে না থাকে, সেই লক্ষ্যেই সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’
বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ সরকারের নানা সহায়তা কর্মসূচির আওতার মধ্যে আছে এবং সহায়তা পাচ্ছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার ভিজিডির মাধ্যমে ১০ লাখ ৪০ হাজার পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা মূল্যে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। সাড়ে ১২ লাখ পরিবার ওএমএসের মাধ্যমে সহায়তা পাচ্ছে। এর বাইরে জেলা প্রশাসন শাক-সবজি, দুধ কিনে জনগণের মধ্যে বিতরণ করছে।
হাছান মাহমুদ জানান, বর্তমানের বিশেষ পরিস্থিতির কারণে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ পর্যন্ত ১ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন চাল, ৪৯ কোটি টাকা ও শিশুখাদ্যের জন্য বিশেষ নগদ অর্থ ১১ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতাসহ নানা ধরনের ভাতার মাধ্যমে দেশের আরও প্রায় ১ কোটির কাছাকাছি লোক বিভিন্ন ধরণের সহায়তা পাচ্ছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের এক-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ সরকারের এই সহায়তার আওতার মধ্যে রয়েছে।
পিবিএ/প্রেস বিজ্ঞপ্তি
