অভিনন্দন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। ফর্বোস ম্যাগাজিন সারা বিশ্ব করোনা প্রতিরোধ ব্যবস্থার যে সকল নারী নেত্রীর সাফল্য তুলে ধরেছে। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাদের মাঝে অন্যতম। ফর্বোস শুধুমাত্র আক্রান্ত বা মৃত্যুর পরিসংখ্যান থেকে এই কথা বলেছে। বাস্তবে শেখ হাসিনার সাফল্য আরো বিস্তৃত। ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠির জীবনযাত্রা সামন এগিয়ে নেয়া। তিনি অত্যন্ত দক্ষতা এবং সফলতার সাথে সেই কাজটি করেছেন।
তিনি বরাবরই মানুষকে আশার বাণি শুনিয়েছেন, বিপদ আসবে। তাই বলে ভেঙে পরা যাবে না। সহসিকতার সাথে বিপদ মোকাবেলা করতে হবে। বাংলাদেশে খাদ্য সংকট মোটেও নেই। খাদ্য সহায়তা বিতরণে প্রথমদিকে কিছু অনিয়মের কথা শুনা গেলেও বর্তমানে তা অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে চলছে।
অতিদরিদ্রদের নায্যমূল্যে খাদ্য সহায়তা বাংলাদেশ সরকারের একটি অগ্রাধিকার কার্যক্রম। যা সারা বছর চলছে। নতুন করে ১ কোটি মানুষকে রেশনিং ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছে। নিন্মমধ্যবিত্ত শ্রেনী ও ভ্রাম্যমান ব্যবাসায়ীদের জন্য ৭’শ কোটি টাকার প্রণোদনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ উদ্যোগ। আর শিল্প কারখানা টিকিয়ে রাখতে ৮৭ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজতো আছেই। শেখ হাসিনার এসব সময়োপযোগী উদ্যোগের কারনে এই কঠিন মহামারি কালেও বাংলাদেশের মানুষের মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে।
এবার আসা যাক করোনা টেষ্ট কিট প্রসঙ্গে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাঃ জাফরুল্লাহ রাজনীতি করেন একথা সর্বজনবিদীত। এই মহামারি ক্রান্তি লগ্নে তার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিজ্ঞানী র্যাপিড টেস্ট কিট আবিস্কার করে মানব জাতির উপকার করেছেন। এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু তিনি যেভাবে এই কিট নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন তা দেখে অন্তত আমরা মোটেও অবাক হইনি। কারন বাংলাদেশে সবকিছুতে রাজনীতি টানা স্বাভাবিক ঘটনা।
যখন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম র্যাপিড টেস্ট কিট আমদানি করেন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে তাকে এসএমএস করি এসব কিট সরকারের কাছে হস্তান্তর করা উচিত। তাছাড়া করোনা টেস্ট কিট আনাতো একজন মেয়রের দায়িত্ব না। নিজ সিটি কর্পোরেশনের নাগরিক সেবাই তিনি এখনো নিশ্চিত করতে পারেননি। তিনি গেছেন সারা দেশের মানুষের দায়িত্ব নিতে। তিনি বার বার বিদেশ থেকে এন৯৫ মাস্ক, পিপিই ও করোনা টেস্ট কিট এনেছেন। অবস্থা দৃষ্টে মনে হলো, তিনি (মেয়র) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ব্যার্থ প্রমাণ করতে বার বার কাজটি করেছেন। যে দেখুন, আপনারা পারছেন না আমি ব্যক্তিগতভাবেই আনতে পারি।
ফলাফল কি দাড়ালো, আজ ২৭ এপ্রিল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমে জানালেন র্যাপিড টেস্ট কিট বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন করে না। টেষ্ট কিট নিয়ে এই একটি বাক্যেই সব আলোচনা সমালোচনার ইতি টানা যায়। গণস্বাস্থ্য এখনো বৃহৎ উৎপাদনে যায়নি। সে জন্য তাদের ক্ষতি বিশেষ নেই। তবে মেয়র মহোদয় নিজ খরচে ৭০ হাজার কিট এনেছেন। তিনি গণমাধ্যমে বলেছেন, আলিবাবা থেকে সংগ্রহ করা। অনলাইনে দেখলাম প্রতিটি কিটের দাম ১১ শত টাকা। তার মানে প্রায় সারে ৭ কোটি টাকার কিট আনা হয়েছে। এটা স্রেফ দেশের অর্থ অপচয়।
আসলে মহাদূর্যোগের সময়ও কিছু মানুষ সুযোগ খোঁজে। এটাই মানব জাতির ইতিহাস।
আর যারা সত্যিকারের মানবতার লক্ষ্যে কাজ করেন অথবা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক তারা কখনো স্বস্তা করতালির অপেক্ষায় থাকেন না। নিজের কাজটি সততা ও নিষ্ঠার সাথে করে যান কেবল। ইতিহাসে তারা অবিস্মরণীয় ও অমর হয়ে থাকেন। মানবতার জননী শেখ হাসিনার করোনা প্রতিরোধের সাফল্য মানব ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে।
পিবিএ/শতাব্দী আলম