করোনাকালে শ্রমিক ছাঁটাই কতটা মানবিক


গাজীপুরের তারগাছ এলাকায় অনন্ত ক্যাজুয়াল পোশাক কারখানা শ্রমিক ছাঁটাই করেছে। আজ শনিবার সকাল থেকেই ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে শ্রমিকরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছে।

মহান মে দিবসেই কেন শ্রমিক ছাঁটাইয়ের মত ঘোষণা দিতে হয়। একটি কারখানা বছরের পর বছর ব্যবসা করে আসছে। এক মাস করোনা লকডাউনে থাকলেই শ্রমিক ছাঁটাই করতে হবে কেন। তার মানে কি মালিক পক্ষের কোন পরিকল্পনাই নেই। আপদকালীন সময়ে কিভাবে কারখানা চালু রাখা যাবে। যেহেতু গাজীপুরে বসবাস সেইসাথে সাংবাদিকতার কারণে অনেক কারখানা মালিকের সাথে জানাশুনা রয়েছে। কিছু বাস্তব ছবি দেখেছি। বাংলাদেশের কিছু কারখানা মালিক নেহাতই ঝুকি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে। যাদের মুলধন বলতে কিছুই ছিল নো। কোন রকমে ধার দেনার মাধ্যমে কারখানা দাড় করায় অথবা ভাড়া বাড়িতে শুরু করে। ব্যাংক ঋণ আর ক্রেতার এলসি ভাঙিয়ে তাদের দিন চলে।

তারপর মিথ্যা অহমিকার বিলাসিতাতো রয়েছেই। আলিশান বাড়ি, দামি গাড়ি, রাতের টেবিলের খরচ। এসব ছাড়াও বিদেশ ভ্রমণে ঐ সব ফটকাবাজ ব্যবসায়ী দেদার খরচ করে। ব্যবসায়ীদের আর একটি বাতিক হচ্ছে ‘গ্রুপ অব কোম্পানী সিম্পটম’। একটি কারখানা লাভের মুখ না দেখতেই আর একটি খুলে বসেন। নামের পাশে অমুক গ্রুত তমুক গ্রুপ লাগানো বিলাসিতা। তারপর ব্যাংক ঋণের টাকা বিদেশে সড়ানোর বিষয়তো সবার জানা। সঙ্গত কারনেই মাত্র এক বা দুই মাসের কোন কর্মহীনতা থাকলেই তারা খেই হাড়িয়ে ফেলেন। কিছুদিন পর দেখা যায় সব সহ লাটে উঠছে।

শ্রমিক ছাটাইয়ের কারন হিসেবে অর্থনীতির সূত্রে আরো হয়ত অনেক অর্ন্তনিহিত কারন রয়েছে। সাদা চোখে আমার এমন কিছু বিষয় নজরে এসেছে।

অনন্ত গ্রুপ অব কোম্পানিজ দেশের বৃহৎ পোশাকা শিল্প প্রতিষ্ঠান। তাদের একাধিক কারখানা আছে। মাত্র একমাসের লকডাউনে এভাবে শ্রমিক ছাটাইয়ের কারন তারাই ভাল জানেন। তবে আমাদের মনে হচ্ছে এই মহান মে দিবস ও করোনাকালে এভাবে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের মত অমানবিক ঘটনা না ঘটলেই ভাল ছিল।

পিবিএ/ শতাব্দী আলম

আরও পড়ুন...