শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতি দেখান

Plabon-Picture

প্লাবন শুভ: করোনা প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন শ্রমজীবী দিনমজুররা। যেমনটা বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী দিনমজুররা, ঠিক তেমনি হাল হয়েছে শিক্ষার্থীদেরও। বাড়ি ছেড়ে দিনাজপুর জেলাশহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় এসে বিভিন্ন ছাত্রাবাস কিংবা বাসা বাড়ি ভাড়া নিয়ে পড়াশোনা করছেন। বর্তমানে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ তাই ক্লাসও হচ্ছেনা তবুও অনেক শিক্ষার্থীদের এখনো গুণতে হচ্ছে ছাত্রাবাস কিংবা বাসা বাড়ি ভাড়ার টাকা।

ছাত্রাবাস কিংবা বাসা বাড়ি মালিকদের কাছে অনুরোধ এই দুর্যোগের সময় শিক্ষার্থীদের কাছে ভাড়ার জন্য চাপপ্রয়োগ করবেন না। ভাড়া মওকুফ করবেন অনুগ্রহ করে। আপনি যেমন আপনার রোজগারের কথা ভাবছেন, ঠিক তেমননি তারাও তাদের পরিবারের কথা ভাবছে যে, কোথায় পাবে এই দুঃসময়ে ছাত্রাবাস কিংবা বাসাবাড়ি ভাড়া?

মার্চ মাস থেকে সকল শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাসায়। তারা ছাত্রবাসে কিংবা বাসাবাড়িতে নেই তবুও কেনো তারা ভাড়া প্রদান করবেন? আপনারা তো এতো নিষ্ঠুর হতে পারেন না এমন সময়ে! আপনাদেরও তো সন্তান আছে, তারাও তো বাহিরে পড়ালেখা করে। তাদের কথা চিন্তা করুন, যারা আপনার ছাত্রাবাস কিংবা বাসাবাড়ি থেকে পড়ালেখা করে। ভেবে দেখুন কতো গরীব ঘরের সন্তানরা কষ্টের টাকা দিয়ে পড়ালেখা করে। বাসায় খাবার না থাকলেও কথা শুনার ভয়ে আপনার ভাড়া প্রতিমাসে পৌঁছে যায় আপনার হাতে। তবে দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে আপনারা সহানুভূতি দেখান। দেশের একজন নাগরিক হিসেবে, একজন পিতা হিসেবে, একজন মানুষ হিসেবে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তারা নিজ নিজ বাসায় চলে এসেছেন গত মার্চ মাসে কিন্তু আপনারা বর্তমানে তাদের বিভিন্ন কৌশলে ভাড়ার টাকা চাইছেন। তাদের বিকাশ নং দিয়ে টাকা দিতে বলছেন, আরো বলছেন এটা ছাত্রাবাস এটার টাকা তো মওকুফের কথা সরকার বলেন’নি। তবে কোন ছেড়ে দেবো। কমবেশি করে হলেও টাকা প্রদান করতে হবে।

আশা করি সংশ্লিষ্টরা শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে অমানবিক এ ছাত্রাবাস কিংবা বাসাবাড়ি মালিকগণকে শাস্তির আওতায় আনবেন। এমন অসময়ে তাদের অমানবিকতা দেখানোর সময় না। ওই মালিকগণেরও বোঝা উচিৎ দেশে এখন কি ধরণের দুর্যোগ চলছে। আশা করি অমানবিক মানুষগুলো থেকে শিক্ষার্থীরা রক্ষা পাবে।
লেখক: শিক্ষার্থী, কলামিষ্ট ও গণমাধ্যমকর্মী
পিবিএ/এএম

আরও পড়ুন...