পিবিএ,ডেস্ক: করোনা মোকাবেলায় মাস্ক এখন আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। তবে মাস্কই যেনো উল্টো বিপদের কারণ না হয়ে দাঁড়ায় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা অনেকে মাস্ক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানি না্। মাস্ক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম মেনে চললেই অনেকাংশে করোনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
কয়েকটি ভুল শুধরে নিলেই মাস্ক ব্যবহারে আরো কোন সমস্যার সৃষ্টি হবে না। প্রথমত: শুধু মুখের অংশ ঢাকার জন্য অনেকে মাস্ক ব্যবহার করে। এ থেকে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে এবং অন্য কেউ আক্রান্ত হতে পারে। মাস্ক পরলে অবশ্যই নাক ঢাকা থাকতে হবে। কারণ নাক দিয়ে নিশ্বাস নেওয়ার সময় পাশের কেউ সহজে সংক্রমিত হতে পারে।
দ্বিতীয়ত: অনেকে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সাথে মাস্ককে স্পর্শ করে। সেক্ষেত্রে সংক্রমণ খুব দ্রুত ছড়াতে পারে। মাস্কের ভেতরের অংশের মত বাইরের অংশ স্পর্শ করাও ঠিক নয়। মাস্ক খোলার সময় অবশ্যই ফিতা ধরে খুলতে হবে। কোনভাবেই সামনের অংশে হাত দেওয়া যাবেনা।
তৃতীয়ত: চিকিৎসকরা যে এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহার করে সেগুলো খুব সুন্দর ভাবে মুখের সাথে লেগে থাকে। কিন্তু সার্জিকাল মাস্ক বা বাসায় বানানো মাস্ক গুলো অনেকসময় মাপ মত হয়না। মুখের সাথে লেগে থাকে না। মাস্কের কাজ হলো যতটা সম্ভব বাইরের বাতাস আটকানো। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে মাস্কের দু পাশের ফিতা টাইট করে নেওয়া যেতে পারে।
চতুর্থত: নাকের একেবারে উপরাংশ পর্যন্ত যে জায়গাকে ব্রিজ বলে সে অংশ পর্যন্ত মাস্ক দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। অনেকে শুধুমাত্র নাকের ডগা পর্যন্ত মাস্ক দিয়ে ঢেকে রাখে। এতে দেখা যায় খুব সহজেই বাইরের বাতাস চলাচল করতে পারে, যা পরবর্তীতে বিপদ ডেকে আনে।
পঞ্চমত: একবার ব্যবহারের পর মাস্ক অবশ্যই ধুতে হবে। এক্ষেত্রে গরম পানি ব্যবহার করা যেতে পারে। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এন-৯৫ মাস্কও এই একই পরিষ্কার করতে হবে। করোনা প্রতিরোধে মাস্কের সাথে সাথে নিয়মিত হাত ধোওয়া, অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার ব্যবহার করা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এ বিষয়গুলো অনুসরণ করতে হবে।
পিবিএ/এএম