পিবিএ ডেস্ক : ভারতের বেঙ্গালুরুর মদনয়াকানাহাল্লির বাসিন্দা এস কে রাজুর সঙ্গে ফেসবুকেই সুষমার প্রথম পরিচয়। দুই বছর আগে ফেসবুকে বন্ধুত্ব দিয়েই তাদের সম্পর্কের শুরু। সম্পর্ক এতটাই গভীর হয়ে ওঠে যে, বিয়ের আগেই সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়েন সুষমা। যদিও শেষ পর্যন্ত ৬ মাস আগেই বিয়ে করেন তারা।
সেই সম্পর্কেরই ভয়াবহ পরিণতি। স্ত্রী ও তিন মাসের সন্তানকে খুনের দায়ে রাজুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, সুষমার অতিরিক্ত ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে সময় কাটানো নিয়েই বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন রাজু। আর সে কারণেই এমন চরম সিদ্ধান্ত রাজুর।
রাজুর দাবি, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে সুষমার অ্যাকাউন্ট ছিল। বিভিন্ন অপরিচিতের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতেন সুষমা। পরিস্থিতি এমন হয়ে গিয়েছিল যে, তিন মাসের সন্তানকে দেখারও সময় পেতেন না সুষমা। এরপরই রাজু সুষমাকে সন্দেহ করতে শুরু করে। অন্য পুরুষের সঙ্গে সুষমার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে বলে মনে করতেন রাজু।
গত ১৯ জানুয়ারি স্ত্রী ও তিন মাসের শিশুকে বেড়াতে নিয়ে যান রাজু। ওয়ান্ডারলা পার্কে যাওয়ার পথে একটি অপরিচিত জঙ্গলের রাস্তায় বাইক নিয়ে যান রাজু। সেই রাস্তায় বাইক দাঁড় করিয়ে ভারী পাথর দিয়ে সুষমাকে বারংবার আঘাত করে খুন করে রাজু। এরপর সেখানেই পেট্রোল ঢেলে সুষমার দেহ পুড়িয়ে দেন। তিন মাসের শিশুটিকেও খুন করেন।
পরদিন এক বনকর্মীর চোখে পড়ে একটি আধপোড়া দেহ। এরপরই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।
নাতি ও মেয়ের দীর্ঘদিন খবর না পেয়ে সুষমার পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। এরপরই ওই আধপোড়া দেহ শনাক্ত করে সুষমার পরিবার। রাজুকে গ্রেফতার করে জেরা শুরু করে পুলিশ। সুষমার দেহ পাওয়া গেলেও, শিশুটির দেহ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তদন্তকারীদের অনুমান, সেটি কোনও পশু নিয়ে গেছে।
পিবিএ/জিজি
