শর্মিলী শর্মি
কত শত আশা কত শত স্বপ্ন
কী যে টান, কী যে উন্মাদনা,
স্বার্থের খেলাতেই প্রয়োজন
ভোগ শেষেই ফুরায় আয়োজন!
প্রতারণার বিশ্বাসঘাতকতার
বড় অস্ত্র তুমি ভালোবাসা!
চোখে হারায় দিশেহারায়
প্রাণের উত্তাপের সৃষ্টি
তুমি চলে গেলে হয় ঝাপসা দৃষ্টি।
প্রার্থণা ধ্যানে জ্ঞানে শুধু তোমায় চাওয়া,
কথার বাঁধনে নাটকে আর মুখোশের আড়ালে হারিয়ে যায় ক্রমশ!
অভিমান অভিসার অপেক্ষা
চাতকের মতো ছটপটানোর অনুভূতি তুমি।
একজন অন্যজনের শক্তি হবো বলা প্রেমিকের কাছে প্রেমিকা তখন বিরক্তিকর!
একসাথে পথচলার পূর্বেই
প্রাণসখার কাছে বোঝা সরুপ
অতলে শ্বাস-প্রশ্বাস হয়ে
বুদবুদ করা আর
আঁধারে দ্বীপশিখার মতো,
কল্পনার মানুষটা কল্পনাতেই থেকে যায়।
প্রেমিকার আবেগ গুলো এক সময় অযাচিত আর ফীকে হয়ে যায়!
প্রেমিকা থাকতে মনের ঘরে জায়গা থাকে;
কিন্তু ঘরে যখন জায়গা হয় তখন আর মনে জায়গা থাকে না!
কতশত শ্রেয়সী আর প্রেয়সীর মাঝে সত্যিকার বুকভরা ভালবাসা নিয়ে অপেক্ষমান প্রেয়সী অবহেলায় নীরবেই চলে যায়।
প্রেমিকা কখনো-ই অর্ধাঙ্গী হতে পারে না
তবে অর্ধাঙ্গী প্রেমিকা হতে পারে।
সারাজীবন হাজার সুখে দুখে একই ডোরে বাঁধা থাকবো আজীবন পাশে থাকবো
একে অন্যের হাত ধরে কথা দেয়া বাঁধনটা
নিমিষেই আলগা হয়ে যায়!
এক সময় যখন পাশে কেউ ছিলনা তখন শক্ত করে ধরে রাখা হাত আর মানুষটাই হয়ে যায় গোডাউনে ফেলা দেয়া ঘুনে ধরা আসবাবের মতো!
পাশাপাশি একসাথে থেকেও
যোজন যোজন দূরত্ব!
ভালোবাসার টান আবেগের সাতকাহন নিয়ে গুমরে মুচড়ে পড়ে রয় পুরোনা স্মৃতি!
শুনতে হয় দাসত্ব প্রথার বয়ান খাচ্ছো দাচ্ছো ঘরেই আছো তাই তো অনেক,
আর কী চাই!
জীবনের মোহনায় আমি জীবন হারিয়েছি
নিশি জাগা পাখির মত নষ্ট-ভ্রষ্ট স্বপ্ন’কে লালন করে!
ইদানিং এই অবিন্যাস্ত জীবন বড্ড তাড়না দেয় আমায়!
কাম মোহ ভোগের কাছে
বড় কুৎসিত বড় বেমানান
আজ ভালবাসা।
কাম নদী’তে তুফান উঠিয়ে
হয় যখন প্রেমের পরিক্ষা!
আমি তখন ভাবি পতিতারাই হয় শ্রেষ্ট প্রেমিকা।
পর্দার আড়ালে আমি কেবল দাসত্ব প্রথার নায়িকা!
পুরনো কথা স্মৃতিচারণ করা হয় ঘেনর ঘেনর বিরক্তিকর আর অতীত আঁকড়ে বেঁচে থাকা পুরোনো চিন্তাভাবনার মেয়ে যাকে বলে বেকডেইডেড বেমানান!
জীবণ নামক নাট্যমঞ্চে
অযাচিত ভালোবাসা আবেগ’কে
খাঁচা হতে মুক্ত করে দিলাম।
ভালোবাসা তুমি তোমার মতো বেঁচে থাকো..
আহা ভালোবাসা।
পিবিএ/এএম