নদী খাইতাছে বাপ-দাদার ভিটা, তিনারা খাইতাছে ট্যাকা! আর কত কাল চলবে ?

বাগেরহাটে বলেশ্বর নদী তীরের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম লাখুর উক্তি। এ শুধু কথা নয়! একজন নদী ভাঙা মানুষের ভিতর থেকে উগরে বেরুনো ক্ষেদ।

বছরের পর বছর বর্ষা এলেই সরকারি বরাদ্দ আসে ভাঙন ঠেকানোর জন্য। আর তা স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং উপরে আমলাদের পকেটে যায়। নদী ভাঙন আর থামে না।

২০১৫ সাল থেকে চলছে ৬৯৬ কোটি টাকার উপকূল রক্ষা বাধ প্রকল্পের কাজ। তাতেও রক্ষা হলো না। বর্ষার শুরুতেই ভাঙন শুরু হয়েছে। শরণখোলা উপজেলার কিছু এলাকায় বাঁধও নদীগর্ভে গেছে।

নদী পারের মানুষ তারা নদীকে বুঝে। তাই একথাও বললো, নদী শাসন না করে যতই বাঁধ দেয়া হোক। কোন লাভ হবে না।
নদী পারের মানুষের দুঃখ ভাঙন। তাদের ক্ষোভে বার বার একটা কথাই উঠে আসে। এই নদী ভাঙন নেতা আর আমলাদের পকেট ভড়ার প্রকল্প। তাই তারা চায় না নদী ভাঙন থামুক। যত ভাঙবে তত টাকা আসবে। আর তাদের পকেট ভারবে।

এভাবে চলতে পারে না। পৃথীবি, প্রকৃতি কঠিন প্রতিশোধ নিতে শুরু করেছে। চারিদিকে মহামারির প্রকোপ। করোনা, পঙ্গপাল, ঘুর্ণিঝর। তারপরও কি মানুষের কোন ভাবান্তর নেই। তাদের মনে কি ভয় ঢুকে না। লোভ কি এতই অন্ধ করতে পারে মানুষকে।
করোনা মহামারির মৃত্যু দুয়ারে কড়া নাড়ে। এই সব মানুষের অভিষাপ থেকে মুক্ত হতে হলে তাদের হক ফিরিয়ে দিতে হবে। তাদের ন্যায্য পাওনা মিটাতে হবে। তবেই মুক্তি। নচেৎ মানুষ হিসাবে করোনা থেকে মুক্ত থাকলেও শেষ বিচারে এর জবাবতো দিতে হবেই।

আসুন মানবিক হই। সরকারি অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করি। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করি।

পিবিএ/শতাব্দী আলম

আরও পড়ুন...