মমিনুল ইসলাম বাবু,কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ উভয় পক্ষের ১০ ব্যক্তি আহত হয়েছে। আহত ১০ জনের মধ্যে এক পক্ষের নারী-শিশুসহ পাঁচ জনকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুরে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তি কুরুষাফেরুষা গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, গত একমাস আগে উপজেলার কুরুষাফেরুষা গ্রামের মৃত: সুরেন চন্দ্র রায়ের ছেলে বিপুল চন্দ্র রায়ের সঙ্গে তার আপন ভাতিজা নিখিল চন্দ্র রায়ের সাথে জমির সীমানাকে কেন্দ্র করে মারামারী হয়। ঐ সময় ভাতিজা নিখিল চন্দ্র আহত হয়। ঐ ঘটনার সালিশকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের বোমভোলার ছেলে সুজন চন্দ্র রায়ের সাথে মৃত: নাছির উদ্দিনের ছেলে আতাউর রহমান আতার কথাকাটি হয় এবং দুইজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এই ঘটনার জেড়ে বুধবার (১৩ মে) দুপুরে আবারও তাদের মাঝে কথাকাটি ও উত্তেজনা দেখা দেয় এবং এক পর্যায়ে দুই পক্ষের দু’দফা সংঘর্ষ বাঁধে। এতে দুই পক্ষের নারী-শিশুসহ ১০ জন আহত হয়।
আহতরা হলেন কুরুষাফেরুষা গ্রামের মৃত: পিশুচন্দ্র রায়ের ছেলে বোমভোলা চন্দ্র (৪৫) ও তার ছেলে সুজনচন্দ্র (১৮), রমাকান্তের স্ত্রী রত্না রানী (৩৭), প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের ছেলে মিলন চন্দ্র (১৪), তুষারচন্দ্র (১০), দেবেনের ছেলে সুরেশচন্দ্র (২৭), টগরাচন্দ্র রায়ের ছেলে বীরেন্দ্রনাথ (৫৭) ও মৃত: নাছির উদ্দিনের ছেলে আতাউর রহমান আতা (৪৮), তার মামাতো ভাই রবিউল ইসলাম (২৫), পূর্বফুলমতি গ্রামের ইলিয়াসের ছেলে বেলাল (৪৫)। প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনার পর থেকেই সীমান্তঘেষা কুরুষাফেরুষা হিন্দু পল্লীতে আতংক বিরাজ করছে।
খবর পেয়ে নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুসাব্বের আলী মুসা, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম বন্ধন ও ফুলবাড়ী থানার এ এস আই মোয়াজ্জেম হোসেন গুরুতর আহত হিন্দু পরিবারের নারী-শিশুসহ পাঁচ জনকে চিকিৎসার লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে উভয় পক্ষের স্বজনদের মাঝে উত্তেজনা পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) নবিউল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থালে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পিবিএ/বিএইচ