পিবিএ,ঢাকা: রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পঙ্গু হাসপাতাল থেকে জোর করে রোগী ভাগিয়ে কলেজগেট এলাকার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার নামে আটকে রেখে অর্থ আদায়চক্রের ১১ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। পরে তাদের মোট ২২ লাখ টাকা জরিমানা ও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন র্যাব পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাবুল হোসেন (৩৯), আব্দুর রাজ্জাক (৩৮), আকাশ (২৪), দুলাল (৩২), কামাল হোসেন (৪০), মো. জাকির, মোকাররম হোসেন (৩০), মো. দুদু মিয়া (৬০), মোবারক খাঁ (২৩), বিল্লাল ওরফে পিচ্চু (৩০) ও ফারুক হোসেন (২৩)।
বুধবার বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত রাজধানীর কলেজগেট সংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধ টাওয়ারে প্রাইম হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-২ এর একটি দল।
র্যাব-২ এর স্পেশাল কোম্পানি কমান্ডার এসপি মহিউদ্দিন ফারুকীর সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আাদালত পরিচালনা করেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
এসপি মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, এই করোনার মধ্যেও রাজধানীর সোহওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পঙ্গু হাসপাতালসহ আশপাশের সরকারি হাসপাতাল থেকে কৌশলে রোগী ভাগিয়ে প্রাইম হাসপাতালসহ বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করার অভিযোগ আসে।
বুধবার আকস্মিকভাবে প্রাইম হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে দেখা যায়, পঙ্গু হাসপাতাল থেকে মোট ৮ জন রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে ৭ জনকে ভাগিয়ে আনা হয়েছে। একজন রোগী আরেকজনের রেফারেন্সে ওই হাসপাতালে ভর্তি হলেও অর্থোপেডিক হাসপাতালে যে ধরনের চিকিৎসা থাকা দরকার তার কোনো বালাই নেই ওই হাসপাতালে। এখানে রোগী ভর্তি করে মূলত রোগী ও তার স্বজনদের জিম্মি করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়া হতো।
অভিযানকালে মোট ১১ জনকে গ্রেফতারের পর ভ্রাম্যমাণ আদালত একজনকে এক বছর, তিন জনকে ৯ মাস, বাকিদের তিন মাস করে জেল এবং ২২ লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পিবিএ/বিএইচ