গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে কাঁঠাল

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে জাতীয় ফল কাঁঠাল। তবে স্থানীয় বাজারে কাঁঠাল না উঠলেও আগামী ১ মাসের মধ্যে ক্রয় বিক্রয় শুরু হবে বলে চাষীরা জানায়। এখানকার কাঁঠাল মিষ্টি রসালো ও স্বাধে অুুলনীয় হওয়ায় এর কদর ও রয়েছে বেশ ভাল। তাই স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। নানা প্রতিকুলতা অপেক্ষা করে স্থানীয় কৃষকরা এলাকায় বানিজ্যিক ভাবে কাঁঠাল চাষ করে অর্থনীতি উন্নয়নে যতেষ্ট ভূমিকা রাখছে। এখন পর্যন্ত গাছে কাঁঠালের যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে কোন প্রকৃতিক দূর্যোগ না ঘটলে ফলন ভাল হবে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরসহ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৫ হেক্টর জমিতে কাঁঠাল ফলন হয়েছে। সরেজমিনে আখাউড়া উপজেলার আজমপুর, রামধননগর, চানপুর, দুর্গাপুর, খারকোট, মিনারকোট, নিলাখাত, বেশ কয়েকটি গ্রামে গিয়ে দেখা যায় গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে কাঁঠাল । গ্রাম গুলোর মধ্যে খালি জায়গা, পুকুর পাড়, রাস্তায় ধারে ও বাড়ির আঙ্গিনায় রয়েছে অসংখ্য কাঁঠাল গাছ। প্রতিটি গাছের গোঁড়া থেকে আগা পযর্ন্ত শোভা পাচ্ছে পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ জাতীয় ফল কাঁঠাল। এক একটি গাছে নিচে ২০- ৬০টির উপরে কাঁঠাল ধরেছে। এ উপজেলাকে যেন এক প্রকার প্রকৃতি দিয়ে যেন সাজানো হয়েছে । এক মাস পরেই মন কাড়ানো লোভনীয় কাঁঠাল ফলের মৌ-মৌ গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠবে হাট বাজার।

কাঁঠাল গ্রীস্ম মৌসুমের একটি জনপ্রিয় ফল। ছোট বড় সভাই কাঁঠাল খেতে পছন্দ করে। কাঁঠাল পাকা খাওয়ার পাশাপাশি মানুষের কাছে এই প্রিয় ফল ও তরকারী হিসাবে যুগ যুগ ধরে কদর পেয়ে আসছে। কাঁঠালের বীজ প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং পুষ্টিকর একটি খাবার। কাচা ও পাকা কাঁঠালের বিচির সাথে মাংস ও সবজির সাথে রান্না করা যায়। তাছাড়া কাঁঠালের ছাল গবাদিপশুর উন্নত মানের গোখাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

চিকিৎসকদের মতে কাঁঠালে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন-সি ,ভিটামিন-বি, ভিটামিন ই- ক্যালসিয়াম ফলিক এসিড রয়েছে । টাটকা ফলে পটাশিয়াম ম্যাগনোশিয়াম এবং আয়রনের একটি ভাল উৎস। তাছাড়া পটাশিয়াম হার্টের গতি ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে। পাকা কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণ আঁশ রয়েছে। ফলে পাঁকা কাঠাল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর এলাকার তাজু মিয়া বলেন,বাড়ি সংলগ্ন পুকুর পাড়, খোলা জায়গায় তার ১৫টি কাঁঠাল গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে নিচে ২০- ৫০টির কাঁঠাল এসেছে। গাছের কাঁঠালে যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে পাকতে নিচে আরো প্রায় ১মাস সময় লাগবে। তবে অন্য বছরের চাইতে এবার গাছে অনেক কাঁঠাল কম এসেছে বলে জানায়।

মনিয়ন্দের মো.শামসুল ইসলাম বলেন, পুকুরপাড় ও বাড়ির আশপাশে ২৫টি গাছ রয়েছে। গত বছরের চাইতে এবার কাঁঠাল তুলনামূলক কম আসলেও নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে ভাল টাকা আয় হবে।

আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, এ উপজেলা কাঁঠাল চাষের জন্য খুবই উপযোগি। এখানকার কাঁঠাল মিষ্টি ও রসালু হওয়ায় কদরও রয়েছে ভাল। এই ফল উৎপাদনে বাগান মালিকদের তেমন খরচ নেই বলে চলে। ফলন ভালো করতে সার্বিকভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়।

পিবিএ/কাজী সুহিন/বিএইচ

আরও পড়ুন...