পিবিএ,গাইবান্ধা: সবজি ও আলু বিক্রেতা চান মিয়া ব্যাপারী। প্রায় ১ মাস হলো তার বেচাকেনা নেই বললেই চলে। বাজারে ক্রেতা কম। গত এক মাস আগেও ভাল বেচাকেনা হত তার। দিন এনে দিন খেয়ে জীবন-যাপন করতেন।
করোনার প্রভাবে গত ২৫ দিন হলো কোনো রকম এক বেলা খেয়ে দিন পার করছেন। প্রতিদিন ভাঙা ভ্যান নিয়ে বের হন তিনি। সব বিক্রি করে হাসি মুখে বাড়ি ফিরছেন চান মিয়া। শুধু এমন একজন চান মিয়া নন গাইবান্ধার এমন অসহায় মানুষদের খুঁজে তাদের পাশেই দাঁড়িয়েছে গাইবান্ধার কিছু তরুণ।
এসব অসহায় সবজি বিক্রেতাদের কাছ থেকে সবজি কিনে আবার তাদেরকেই উপহার দিয়ে সহায়তা করছেন একদল তরুণ শিক্ষার্থী। করোনার প্রকোপে স্থবির পুরো দেশ। দেশে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের সংখ্যাই বেশি, খুব কম মানুষ আছে যারা নিশ্চিন্তে ঘরে বসে খেতে পারেন। অসহায় হয়ে পড়েছে হতদরিদ্র , ছিন্নমূল, দিনমজুর মানুষের পাশাপাশি নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ।
দেশের এই ক্রান্তিকালে কর্মহীন হয়ে পড়া গাইবান্ধার ২২৮টি দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারকে উপহার হিসেবে প্রায় ১ সপ্তাহের খাদ্য সামগ্রী দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে গাইবান্ধার এসএসসি ২০১২ ব্যাচের ছাত্রবৃন্দ। সামাজিক দূরত্বের কথা মাথায় রেখে তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে টোকেন বিতরণ করে। পরে ওইসব বাড়িতে নিজ দায়িত্বে তারা উপহার পৌঁছিয়ে দেয়।
সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, তেল, কাঁচা বাজার, সাবান, জীবাণুনাশক ও শুকনা খাবার। তরুণ শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের গাইবান্ধা পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত বাসিন্দারা অনেকেই নানাভাবে সাহায্য পায়।
কিন্তু পৌরসভার বাহিরের যারা থাকেন তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব থেকে বঞ্চিত। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য এসব বঞ্চিতদের পাশে দাঁড়ানো। তারা যেন অন্তত এক সপ্তাহ নিশ্চিন্তে খেতে পারে।
পিবিএ/নুরে শাহী আলম লাবলু/বিএইচ