২১ মে’র পর এসএসসি’র ফল প্রকাশ

ফাইল ছবি।

পিবিএ,ঢাকা: এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। আগামী ২১ মে’র পর যেকোনো দিন ফল প্রকাশ করার প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ড কমিটি। সে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ সময়ের পর অর্থাৎ ঈদের আগে বা পরে প্রধানমন্ত্রী যেদিন সময় নির্ধারণ করবেন সেদিন পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে জানা গেছে, চলতি মাসের মধ্যে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে দেশের সবগুলো শিক্ষা বোর্ড দুই শিফটে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। চলতি মাসের ২৬ থেকে ২৮ মে’র মধ্যে এ ফলাফল প্রকাশ করা হতে পারে।

তবে আগামী ২১ মে’র মধ্যে ফলাফল প্রস্তুতের শতভাগ কাজ শেষ হয়ে যাবে। তাই এ সময়ের পর যেকোনো দিন ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে বলে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ডের পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক রোববার বলেন, আগামী ২১ মে’র পর এসএসসি-সমমান পরীক্ষার ফল প্রস্তুতের কাজ শেষ হবে বলে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ড থেকে জানানো হয়েছে। তার ভিত্তিতে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সময় চেয়ে ফল প্রকাশের প্রস্তাব পাঠাব। চলতি সপ্তাহে এ প্রস্তাব পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রী যেদিন সময় নির্ধারণ করবেন সেদিন ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

এদিকে বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড থেকে জানা গেছে, ডাক বিভাগের সহায়তায় ঢাকার বাইরের উত্তরপত্র দ্রুত নিয়ে আসে বোর্ড। ইতোমধ্যে বোর্ডে আসা ওএমআর শিটের স্ক্যানিং কাজ শেষ হওয়ার পথে। কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে দুই শিফটে কাজ করা হচ্ছে।

জানা যায়, ইতোমধ্যে প্রায় শতভাগ উত্তরপত্র চলে এসেছে। চলতি মাসের ২৬ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে এসএসসি-সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সম্ভবনা রয়েছে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক বলেন, কাজ দ্রুত শেষ করতে আমাদের দুই শিফটে কাজ চলছে। উত্তরপত্র দ্রুত নিয়ে আসতে ডাক বিভাগ আমাদের যথেষ্ট সহায়তা করছে। আশা করছি এ মাসের শেষ নাগাদ ফল প্রকাশ করা যাবে।

জানা গেছে, অন্যান্য বছরের মতো এবারও স্ব স্ব শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এসএসসি-সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে এসএমএস করে পরীক্ষা ফল জানা যাবে। ঘরের বাইরে না গিয়ে কীভাবে সহজেই শিক্ষার্থীদের কাছে ফলাফল পৌঁছে দেয়া যায় সে চেষ্টা চলছে।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...