স্পেনে জরুরি অবস্থা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ

পিবিএ,ডেস্ক: স্পেনে পঞ্চম দফায় চলমান জরুরি অবস্থা ১৫ দিনের পরিবর্তে টানা ১ মাসের মেয়াদ বাড়াতে সংসদে প্রস্তাব করেছেন প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। তবে করোনাভাইরাস ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছেন স্পেনের জনগণ। মহামারির মধ্যেই গতকাল রোববার এই বিক্ষোভে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এলপাইসের খবরে বলা হয়েছে, পুলিশ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানালেও মাদ্রিদের বারড়িও দে সালমানকায় কয়েকশ মানুষ বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাদের অনেকের হাতে স্পেনের পতাকা ছিল। পাশাপাশি ক্ষমতাসীন বামপন্থী সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এসব ডানপন্থী বক্স সমর্থক বিক্ষোভকারীরা।

কার্লোস নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘তাদের (সরকার) উচিত সবাইকে পরীক্ষা করা, যেন সুস্থ ব্যক্তিরা কাজে ফিরে যেতে পারেন এবং অর্থনীতি আবারও চালু করা যায়।’

তিনি বলেন, ‘করোনার পর সবচেয়ে খারাপ ভাইরাস ‘পেদ্রো এবং পাবলো’, যা ৪ কোটি ৭০ লাখ স্প্যানিশ জনগণকে ধ্বংস করে দেবে। প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী পাবলো ইগলেসিয়াসের বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

এ ছাড়া দেশটির জারাগোছা এবং দক্ষিণাঞ্চলের সেভিয়া শহরেও একই ধরনের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হয়।

রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেন, ‘আমরা যে পথে যাচ্ছি, সেটিই একমাত্র সম্ভাব্য পথ।’ এ সময় জুন মাসের শেষ পর্যন্ত জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়াতে সংসদে প্রস্তাব দেওয়ার কথাও জানান তিনি।’

গত ১৪ মার্চ করোনার বিস্তার রোধে প্রথমবারের মতো জরুরি অবস্থা জারি করে স্পেন। কর্মকর্তারা জানান, দেশটিতে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এলেও ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে নেওয়ার আগ পর্যন্ত আরও কিছু সময় বিধিনিষেধ মেনে চলা দরকার।

স্পেনে প্রথমবারের মতো মারা যাওয়া ব্যক্তির সংখ্যা এসছে ১০০’র নিচে। প্রায় দুই মাস পর গতকাল রোববার দেশটিতে মাত্র ৮৭ জন করোনায় মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যা আগের দিনের তুলনায় কম। শনিবার দেশটিতে প্রাণহানির এই সংখ্যা ছিল ১০২ জন।

ইতিমধ্যে চারবার স্পেনে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এমন অবস্থায় আইনপ্রণেতা ও ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে সানচেজের বামপন্থী জোট সরকার।
পিবিএ/এএম

আরও পড়ুন...