পিবিএ,লালমোহন: ভোলার লালমোহনে বিপনী বিতানগুলিতে ক্রেতাদেরে উপছে পড়া ভীড়। পবিত্র ঈঁদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে দোকান মালিক ও ক্রেতারা সরকারের দেয়া শর্তকে তোয়াক্কা না করে প্রতিনিয়ত বাজারে ভিড় করছে। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা করছেন সবাই । কেউ ক্রেতা এবং বিক্রেতাকে সতর্ক করলে উভয়ই সতর্কবার্তাবাহীর উপর ক্রোধান্বিত হয়ে পড়েন। মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্যবিধি।উপজেলার প্রায় সকল গার্মেন্টস, বস্ত্রালয় ও জুতাসহ অন্যান্য দোকানগুলোতে দেখা গেছে ভীড়। ঈঁদের কেনাকাটায় সামাজিক দূরত্ব বলতে যেন কিছুই নেই।
সরকারি নির্দেশনা মতে ১০ মে থেকে স্বল্প পরিসরে সকল দোকানপাট খোলা যাবে। কিন্তু সরকারি নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে নির্ধারিত সময়ের আগেই উপজেলার বিভিন্ন বাজার এলাকায় বিভিন্ন কাপড়ের দোকানপাট খুলতে দেখা গেছে। মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের তৎপরতা উপেক্ষা করে বাজারের অনেক দোকানগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে অবাধে চলছে কেনাকাটা। পুলিশের গাড়ি বা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবর পাওয়ামাত্রই দোকানের গেট ও শাটার বন্ধ করে ফেলা হয়। কিছু সময় পরে পুলিশের গাড়ি চলে যাওয়া বা মোবাইল কোর্ট স্থান ত্যাগ করার খবর এলেই আবার দোকানপাট খোলা হয়। দোকানীরা কিছুতেই করোনার বিষয়ে সরকারের সতর্কতামূলক স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। ফলে বাজারগুলো থেকে মানুষের দেহে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি প্রত্যহ বাড়ছে।
সরেজমিনে ১৯মে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লালমোহন বাজারের বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে, অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শাটার পুরোপুরি খোলা, রেখে নারী ও পুরুষ ক্রেতাদের কাছে চলছে বেচা বিক্রি। সামনে দোকানের কর্মচারীরা দাঁড়িয়ে রয়েছেন নির্দেশনা না মেনে। তারা গণমাধ্যম কর্মীদের দেখলে ভিতরের ক্রেতা রেখেই বাহির থেকে পুনরায় শাটার টেনে লাগিয়ে দিচ্ছেন। এমতাবস্থায় পুরো লালমোহন উপজেলা রয়েছে করোনা ঝুঁকিতে।
একেতো দোকানগুলোতে করোনা থেকে সুরক্ষার সরঞ্জাম নেই, অন্যদিকে মাক্সবিহীন সাধারণ মানুষও অবাধে চলাচল করছে, কেনাকাটা করছে। ইতিমধ্যে ভোলায় মোট ১৬জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলেও সচেতনতা সৃষ্টি হয়নি সাধারণ মানুষের মাঝে। দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় দেখে মনে হচ্ছে যেন, করোনার সাথে আলিঙ্গন করছে মানুষ। এমন আতঙ্কজনক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতনমহল।
পিবিএ/জাহিদুল ইসলাম দুলাল/এএম