পিবিএ,ধুনট: করোনার মধ্যে আরেক ধাক্কা আম্ফান। গত কয়েক দিন দরে সতর্ক সংকেত দিতে দিতে গত বুধবার সন্ধা থেকে১৬০-১৮০কিলোমিটার বেগে উপকূল অঞ্চলে তান্ডব শুরু করে আম্ফান।এদিকে আম্ফানের প্রভাবে সারা দেশে পড়েছে।
বগুড়ার ধুনটে আম্ফানের প্রভাবে কৃষি ও মৎস খাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঝড় আর অতি বৃষ্টিতে উপজেলার নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়। এতে উপজেলার অধিকাংশ পুকুর বাধ তলে মাছ বেরিয়ে যায়। এদিকে অতি বৃষ্টিতে নিম্ন জমিতে রোপন কৃত ধান পানির নিচে তলে যায়। এতে উপজেলায় প্রায় ৩৩লক্ষধিক টাকার ফসল নষ্ট হয় বলে জানান উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়।
উপজেলার গোসাইবাড়ি, ভান্ডারবাড়ি,মথুরাপুর চৌকিবাড়ি সহবিভিন্ন এলাকায় সরজমিনে দেখা যায়, সোনালী পাকা ধানের ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে নিম্ন এবং উপজেলার বিভিন্ন পুকুর খাল বিল পানি দিয়ে ভরে গেছে এবং মাছ বেরিয়ে যায়।এ দিকে উপজেলায় বেশ কয়েকটি ঘর বাড়ি ভেঙ্গে গেছে। ভেঙ্গে গেছে বিভিন্ন ফল গাছ।
উপজেলার বড়বিলা গ্রামের কৃষক পুটু বলেন, ৬ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছিলাম গত কালকের বৃষ্টিতে আমার ধান পানির নিচে পড়েছে। এতে আমার মাথায় হাত পড়েছে।
আরেক কৃষক ইয়াকুব তিনি বলেন, আমি ৪ বিঘা জমিতে ধান আবাদ করেছিলাম। ফলনও ভালো ছিলো। কিন্তু বৃষ্টি এসে আমার সব ধ্বংস করে দিলো। এখন আমি চলবো কি করে।
উপজেলার বানিয়াগাতীর মাঝি রঘু বলে, আমি টাকা দিয়ে পুকুর নিয়েছিলাম ৩ মাসের জন্য পুকুরে মাছও ছেড়েছি। কিন্তু অতি বৃষ্টিতে অনেক মাছ ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মুশিদুল হক জানান, আম্ফানের ২ দিন আগে আমরা উপজেলা জুড়ে মাইকিং করে জনসচেতনতা করেছি। কিন্তু আম্ফানের আঘাত ধারণার চেয়ে বেশি হওয়ায় ক্ষতি বেশি হয়েছে।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুস সোবাহান বলেন, আম্ফানের প্রভাবে উপজেলায় ১৯৪ হেক্টর ধানী জমি, পাট ২৭ হেক্টর, শাক সবজি ৬ হেক্টর আবাদ নষ্ট হয়েছে। যার আর্থিক ক্ষতি ৩৩ লক্ষাধিক টাকা।
পিবিএ/আব্দুল হামিদ/এএম