ঈদে খাবারের প্রতি সচেতন আছেন কি?

পিবিএ,ডেস্ক: সবার ঘরে ঘরেই এখন ঈদের আনন্দ। এই দিনে সবাই প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেয়। সেই সঙ্গে প্রতি ঘরেই থাকে রকমারি খাবার। তবে সারা মাস রোজা রাখার পর ঈদের দিন একসঙ্গে এতো খাবার খাওয়াটা ভুল। কারণ এতে আপনি অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়ে যেতে পারেন।
বিশেষ করে ঈদ আয়োজনে ডায়াবেটিস রোগীদের থাকতে হবে একটু বেশি সচেতন। শুধু ডায়াবেটিস রোগীরাই নয়, সবার জন্যই ঈদের দিনের প্রতিটি খাবার যেন স্বাস্থ্য উপযোগী হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পুষ্টিবিদের মতে ঈদের দিন কেমন খাবার খাওয়া জরুরি চলুন জেনে নেয়া যাক-

ঈদের সকাল
পুরো এক মাস একই নিয়মে রোজা রাখার পর ঈদের সকালে অনেক খাবার একসঙ্গে খাওয়াটা ভুল। সকালের খাবার বেশি কিংবা এলোমেলো হওয়া চলবে না। তাই সকালের মেন্যু যেন হালকা হয় সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। সকালে দুধের তৈরি পায়েস বা ফলের জুস, তেল ছাড়া পাতলা পরোটা বা রুটির সঙ্গে সবজি ভাজি খাওয়াই ভালো।

ঈদের দুপুর
দুপুরের খাবার একটু ভারিই হয়ে থাকে। তবে খেয়াল রাখুন তা যেন অতিরিক্ত ভারি না হয়ে যায়। অল্প খাবার রান্না করলে তাতে পুষ্টি এবং ক্যালোরি সবই পূরণ করা সম্ভব। খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন মাছ বা মাছের তৈরি রেসিপি, মুরগির মাংসের সঙ্গে সাদা পোলাও বা খিচুড়ি। এর চেয়ে ভারি খাবার না খাওয়াই ভালো। তবে সবুজ সালাদ ও টকদই মেন্যুতে রাখা যেতে পারে।

ঈদের রাত
লকডাউনের কারণে সারাদিন কোনো ঘোরাঘুরি নেই, ঘরেই ঈদ পালন করছেন সবাই। তাই রাতের খাবারও হালকা রাখুন। সাদা ভাতের সঙ্গে মুরগি বা গরুর মাংস, গরুর কাবাব, সবজি বা সবজির কোনো রেসিপি রাখতে পারেন।

কিছু টিপস
> গরমে হজমে সমস্যা হতে পারে তাই পর্যাপ্ত পানি, শরবত, ফলের জুস পান করুন।

> ঈদে কিছু খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। কোমল পানীয়, টেস্টিং সল্ট, বাজারের তৈরি আচার বা সস খাবেন না।

> খালি পেটে নারকেল বা লিচু জাতীয় কোনো খাবার খাবেন না।

> ধীরে ধীরে খাবার খাওয়ায় অভ্যস্ত হলে খাবার দ্রুত হজম হবে।

> অতিরিক্ত মসলা ও চর্বিযুক্ত খাবার বর্জন করুন।
পিবিএ/এএম

আরও পড়ুন...