একের পর এক দুঃসংবাদে বাতাস ভারি হচ্ছে। মহামারি করোনা মানব জীবনে গভির ক্ষতচিহ্ন রেখে যাবে, এতে আর সন্দেহ নাই। পরশক্তিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইতিমধ্যে সারাবিশ্বকে লকডাউন করে তার ক্ষমতার দাপট দেখিয়েছে। এখন চলছে ধ্বংশযজ্ঞের আঁচর। বাংলাদেশেও এর প্রভাব প্রকট হচ্ছে। সরকারের উচিত এখনি আরো বেশী সর্তক পদক্ষেপ গ্রহন করা। আর জনগণের উচিত স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করা।
সকালে অধ্যক্ষ নিলুফার মঞ্জুরের মৃত্যু, দুপুরে মৃত প্রবাসীর লাশ সৌদির রাস্তায়, ডেপুটি স্পীকারের স্ত্রী বিয়োগ, ডাঃ জাফরুল্লাহর আক্রান্ত, করোনা উপসর্গে মৃত শ্রমিকের লাশ বার বার ফেলে দেয়া। কোন কিছু ঘটতে বাকি থাকছে না।
প্রাণহীন মানুষের দেহ কতটা অর্থহীন হতে পারে। করোনা তা বেশ ভালভাবেই বুঝাচ্ছে। আর দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত জীবন্ত প্রাণবন্ত দেহখানি কতটা অবহেলার বস্তুতে পরিণত হতে পারে তাও দেখতে পাচ্ছি।
এতসবের পরও রাজনীতির অশুভ খেলা থেমে নেই। এখনতো রাজনীতির সময় না। বিশেষভাবে লক্ষ্য করছি বিএনপি নেতৃবৃন্দ জনগণের পাশে দাড়ানোর চাইতে সরকারের সমালোচনাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
একথা বলতে দ্বিধা নেই সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে করোনা প্রতিরোধে কাজ করছে। অনেকক্ষেত্রে সফলও। তবে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে সার্বজনিন পদক্ষেপ দরকার।
করোনা প্রতিকারের ব্যবস্থা নেই। তাই প্রতিরোধই উত্তম পন্থা। সর্তকতা এবং সচেতনতাই মানুষকে রক্ষা করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে রাজনীতিবিদরাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই কাজটি পারেন।
দুঃসংবাদের পাল্লা আরো ভারি হবার পূর্বেই ব্যবস্থা নিন। ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা আমাদের এগিয়ে যাবার শক্তি আরো বৃদ্ধি করবে।
পিবিএ/শতাব্দী আলম