চিকিৎসার জন্য এসে ৫ জন জ্যান্ত মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করলেন। এর দায়ভার ইউনাইটেড হাসপাতাল কতৃপক্ষকেই বহন করতে হবে। কোন যুক্তিতেই এর দায়ভার তারা এড়াতে পারবেন না। এ ব্যপারে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় তদন্তপূর্বক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবার দাবি রাখছি।
ইউনাইটেড হাসপাতালের অগ্নিকান্ডের ঘটনা অনভিপ্রেত। এখানে মানুষ আসে চিকিৎসার জন্য। স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে। দেশের অভিজাত হাসপাতাল এবং অভিজাত এলাকায় এর অবস্থান। পাশাপাশি চিকিৎসা খরচের দিকে প্রথম সারিতে থাকবে। অথচ এখানেও অগ্নিকান্ডের মত ঘটনায় মানুষের মৃত্যু হলো। এই মৃত্যুর দায় কোনভাবেই এড়াতে পারে না ইউনাইটেড কতৃপক্ষ।
গণমাধ্যমে প্রকাশ, ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের কর্তব্যরত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেছেন, নিচতলায় এসি বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে।
এছাড়াও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সাধারণ যেসব কারন থাকতে পারে এবং প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষের যা করণীয় ছিল। যেমন- আগুন লাগার সাথে সাথে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা কার্যকর না করার কারনেই এতবড় ক্ষতি হলো। রোগী বা তাদের স্বজনদের অসাবধানতায় আগুল লাগলে ( সেক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরদারির অবহেলা) বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে হতে পারে ( এমন হলে বুঝা যাবে ভবনের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা দূর্বল), গ্যাস জাতীয়(অক্সিজেন বা অন্যান্য গ্যাস সিলিন্ডার) বিষ্ফোরণের ঘটানা হতে পারে( সেক্ষেত্রেও কর্তৃপক্ষের অবহেলা দায়ী, এসব সিলিন্ডার প্রয়োজনীয় মানউর্ত্তীণ ছিল না হয়ত), হতে পারে নাশকতা ( এতেও কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দূর্বলতা প্রকাশ পায়)। অথবা প্রাথমিক তথ্যমতে তাদের দাবি অনুযায়ী এসি বিস্ফোরণ।
তাহলে সম্ভাব্য যে কোন কারনেই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটুক না কেন ! এর দায়ভার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হবে।
তাদের কর্তব্যে অবহেলার কারনে ৫ জন মানুষের জীবন হয়ত অকালে প্রাণ হাড়ালো। তার চেয়ে বড় হচ্ছে ৫ টি পরিবার সাথে তাদের অসংখ্য স্বজন হাড়ালো তাদের প্রিয়জনকে।
সরকারের কাছে নিবেদন তদন্তপূর্বক এর উপযুক্ত বিচার এবং ক্ষতিপুরণ নিশ্চিত করুন।
পিবিএ/শতাব্দী আলম