আহসান টিটু, ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বাদশা সরদার (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এতে কমপক্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় গুরুতর আহত অবস্থায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোল্লাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী গোলাম কবির। নিহত বাদশা সরদার গাংনি রহমতপাড়া এলাকার মোঃ সালেক সরদারের ছেলে।
আহতদের মধ্যে ইসমাইল খান(১৮), হাবিব মল্লিক (২০), আলমগীর সরদার (৫০), বাচ্চু মল্লিক (৩৫), আলমগীর শেখ (৪০), ওয়াহিদ সরদার (৫৫), সাইফুল ইসলাম (১৫), আব্দুল্লাহ শিকদার (২৬), রমজান (২৫), রিয়াজ মোল্লা (২০), সবেদ আলী (৩৫), আবেদ আলী (৩৮), রনি হাসান (৩৯), মিঠু শেখ (৪০) ও তার স্ত্রী, ছেলেকে মোল্লাহাট ও খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলায় নিহত বাদশা সরদারের বড়ভাই ফিরাঙ্গী সরদার জানান, বাদশা সরদার বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় ১০-১২ জনের একটি অস্ত্রধারী দল তার ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহন হন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মোল্লাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী গোলাম কবির জানান, বুধবার (২৭ মে) বিকেলে মোল্লাহাটে উপজেলার গাংনি রহমত পাড়া এলাকায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাকির গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে বাদশা সরদার আহত হন। তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, স্থানীয় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওই দুই পক্ষের সংঘর্ষে বাদশা সরদার নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে। ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
পিবিএ/আহসান টিটু/এমএ