রাবিতে হলের অবৈধ শিক্ষার্থীকে বের করায় তালা ও অবস্থান ছাত্রলীগের

ছাত্রলীগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

পিবিএ,রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক অনাবাসিক (অবৈধ) শিক্ষার্থীকে বের দেওয়ায় হল গেটে তালা দেওয়াসহ প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান হলে এসে বিষয়টির সমাধান করেন। শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলে তালা দেওয়ার ঘটনা ঘটে বলে জানান হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলী আসগর। বের করে দেওয়া ওই অবৈধ শিক্ষার্থী জনি মিয়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ সেশনের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

হল সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে হলের ১২০ নং রুমের সিট ফাঁকা হয়। একে ওই হলের ছাত্রলীগ নেতা মোহন প্রাধ্যক্ষকে না জানিয়েই জনি মিয়াকে হলে তুলে দেন। ফলে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলী আসগর বিষয়টি জানতে পেরে ওই অনাবাসিক শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেন। এ ঘটনায় ওই কক্ষে তালা দিয়ে হল গেটে বিক্ষোভ করেন হল ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হল প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অবস্থান ও তালা দেওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘তালা দেওয়ার ঘটনা আমার জানা নেই। তবে ছাত্রলীগের কর্মীকে হলে তুলে দিলে হলের প্রাধ্যক্ষ পুলিশ দিয়ে তাকে বের করে দেয়।

পরে প্রক্টরকে জানানো হলে তিনি ওই শিক্ষার্থীকে রুমে তুলে দেন।’ হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলী আসগর বলেন, হলে আবাসিকতা দিতে একটি নির্ধারিত নিয়ম আছে। হল প্রশাসনকে না জানিয়ে কাউকে হলে তোলা নিয়মের মধ্যেও পড়ে না। তাই হলের আবাসিক শিক্ষকদের সাথে নিয়ে প্রথম বর্ষের ওই শিক্ষার্থীকে বের করে দেওয়া হয়। প্রথম বর্ষে মাত্র ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীকে আবাসিকতা দিলে অন্যবর্ষের শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক দাবি নিয়ে আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে।

এদিকে প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতাদের অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, হলের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রাধ্যক্ষ অবৈধ শিক্ষার্থীকে বের করে দিতে পারেন এটি তার এখতিয়ার। ছাত্রলীগের ছেলেদের বলেছি প্রাধ্যক্ষের সাথে বসে বিষয়টির মিমাংসা করে নিতে। ছাত্রলীগের নেতাদের উচিত প্রাধ্যক্ষকে জানিয়ে হল অভ্যন্তরে যেকোন কাজ করা এবং প্রাধ্যক্ষকে সহযোগিতা করা।

পিবিএ/এএইচ/জেডআই

আরও পড়ুন...