পিবিএ, ঢাকা : করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি না হলেও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতেই সরকার খুলে দিয়েছে অনেক কিছু। বিভিন্ন অফিস-আদালতের ওপর নির্ভর করছে অনেক মানুষের রুটি-রুজি। ক্রীড়া ফেডারেশনগুলো খুললেও অনেক মানুষের কাজের সুযোগ আসবে। কর্মহীন হয়ে পড়া থেকে আবার কর্মচাঞ্চল্য ফিরবে তাদের মধ্যে।
স্বল্প পরিসরে ক্রীড়া ফেডারেশনের দরজা খোলার পর এখন চারদিকে প্রশ্ন-ঘরোয়া খেলাধুলা আবার কবে শুরু হবে? খেলা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সরকারের নির্দেশে। কোনো ফেডারেশন খেলা শুরু করতে হলে সরকারি নির্দেশনা মেনেই করতে হবে।
তাহলে ঘরোয়া খেলাধুলা নিয়ে কি ভাবছে সরকার? সরকারের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি ঘরোয়া খেলাধুলার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সাথে। কথা বলেছেন, ঘরোয়া খেলাধুলা কবে নাগাদ শুরুর অনুমতি দেবেন তা নিয়ে। আসুন দেখে নেয়া যাক সে আলাপচারিতা…
প্রশ্ন : ধীরে ধীরে তো অনেক কিছু খুলে যাচ্ছে। কিছু ক্রীড়া ফেডারেশনও তাদের কার্যালয় খুলে কাজ শুরু করেছে। তাহলে আমাদের ঘরোয়া খেলাধুলা নিয়ে কি ভাবছেন?
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী : দেখুন, সরকার প্রয়োজনের তাগিদে অনেক কিছু খুলেছে। গার্মেন্টসগুলো খোলার পর কিন্তু অনেক কর্মচারীর নিজেদের সংসারের খরচ মেটাতে পারছে। তবে ক্রীড়াঙ্গন কিন্তু সে রকম না। আমাদের সামনে এমন কোনো জরুরী খেলাধুলা নেই যে এখনই শুরু করতে হবে। আরো সময় নিয়ে দেখেশুনে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
প্রশ্ন : দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক হিসেবে আপনি নিজে কি কিছু পরিকল্পনার কথা ভাবছেন যে, কবে নাগাদ দেশের ক্রীড়াঙ্গন সরব হতে পারে?
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী : কিছু খেলা আছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজন করা যায়। যে খেলাগুলোয় ফিজিক্যালি কোনো কনটাক্ট নেই। ধরুন দাবা, সিঙ্গেল ব্যাডমিন্টন, সিঙ্গেল টেবিল টেনিস, টেনিস, আরচারি, শ্যুটিং এরকম আরো কয়েকটি। এ সব ফেডারেশন জরুরী মনে করলে আয়োজন করতে পারবে অন্য খেলাগুলোর আগে। তবে সেটা কোনোভাবেই জুনের পর ছাড়া নয়।
প্রশ্ন : ঘরোয়া খেলাধুলা কবে শুরু হতে পারে, সেটা জানতে তাহলে আমাদের জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে?
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী : হ্যাঁ। জুনের পর ছাড়া ঘরোয়া ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না। কিছু অফিস খুললে এখনো কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তাই খেলাধুলার বিষয়টি নিয়ে তাড়াহুড়ার সময় আসেনি।
প্রশ্ন : করোনাভাইরাসে দেশ আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই আপনি ত্রাণ বিতরণসহ বিভিন্ন সরকারি কাজে ছোটাছুটি করছেন, মানুষকে সাহায্য করছেন। সরকারের পক্ষ থেকে মানুষকে নানাভাবে সতর্ক থাকতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। আপনার কি মনে হয় মানুষ সচেতন?
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী : আমাদের জনগণ অনেক অসচেতন। কোনো নিয়ম তারা মানতে চায় না। এখনো পথে-ঘাটে অনেক মানুষ দেখা যায় যারা মাস্ক ব্যবহার করে না। অথচ মাস্ক ব্যবহার করেই অনেকটা নিরাপদ থাকতে পারেন। বাইরের কাজ সেরে বাসায় ফিরে গোসল করে ফেললে এবং ব্যবহার করা কাপড়গুলো গরম পানিতে ধুয়ে ফেললেই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
আমি আবারো বলবো, কেউ যেন প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না আসেন। আর প্রয়োজনে যারা আসবেন তারা অবশ্যই সুরক্ষিত হয়ে। বিশেষ করে মাস্ক পড়তেই হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। আপনি নিরাপদ থাকলে আরেকজন নিরাপদ থাকবে।
পিবিএ/এমএ