কুড়িগ্রামে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে অনলাইনে পাঠদান

পিবিএ,কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে অনলাইনে ও কোর্স পদ্ধতিতে লেখাপড়া জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে বাসায় থেকেই শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে পড়াশুনার সুযোগ। পাশাপাশি ভাল ফলাফলের জন্য সম্পৃক্ত করা হচ্ছে অভিভাবকদের। সম্প্রতি কুড়িগ্রামে এসএসসি পরীক্ষায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা এন.এস আমিন রেসিডেন্সিয়াল স্কুল তাদের সাফল্য ধরে রাখতে শুরু করেছে এই পদ্ধতিতে পাঠদান। মিলছে সাফল্য।
বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতির কারণে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে পিছিয়ে পড়ছে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী। এই পরিস্থিতিতে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় অবস্থিত এন.এস আমিন রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অনলাইন ও কোর্স পদ্ধতির মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম চলমান রেখেছে। অপরদিকে শিক্ষার্থীরা অনলাইন পেজে ভিডিওতে আপলোডকৃত টাস্ক পরে নিজেরা সমৃদ্ধ হচ্ছে। মাসের শেষে অভিভাকরা স্কুল থেকে পরীক্ষাপত্র বাড়িতে এনে নিজেরাই সন্তানদের পরীক্ষা নিচ্ছেন। পরবর্তীতে পরীক্ষার উত্তরপত্রে শিক্ষকগণ নম্বর দিয়ে ফেসবুক পেজে ফলাফল শীট উন্মুক্ত করে দিচ্ছে। এভাবে প্রতিমাসে কোর্স ভিত্তিক পড়াশুনা ও পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারছে। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য মোবাইলে শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সাথে সার্বক্ষণিক সংযোগ রাখা হচ্ছে।

চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেই জেলায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে বিদ্যালয়টি। ১১৩জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৮জন। এ গ্রেড পেয়েছে ১৯জন এবং বি পেয়েছে ৬জন। জেলায় এবার ১ হাজার ৯২জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। উলিপুর থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৩জন। এরমধ্যে এন.এস আমিন রেসিডেন্সিয়াল স্কুল একাই পেয়েছে ৮৮জন। শতভাগ ভাগ পাশ করা এই বিদ্যালয়ের জিপিএ-৫ পাওয়ার শতকরা হার ৭৭ দশমিক ৮৮ভাগ। অপরদিকে কুড়িগ্রাম সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৩৭জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করেছে। জিপিএ-৫ অর্জন করেছে ১১২জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্তের শতকরা হার ৪৭ দশমিক ২৫ভাগ। এই বিদ্যালয় থেকে একজন অকৃতকার্য হয়েছে। এছাড়াও কো-কারিকুলাম কার্যক্রমের মধ্যে এন.এস আমিন রেসিডেন্সিয়াল স্কুল বরাবরই জেলায় সাফল্য অর্জন করে আসছে।

বিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক যতীন্দ্রনাথ বর্মন জানান, আমরা স্কুলের নামে অনলাইন পেজে ক্লাসের টাস্কগুলো ভিডিওতে আপলোড করছি। পাশাপাশি অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সাথে ফোনে অগ্রগতি যাচাই করছি। এছাড়াও কোর্স কমপ্লিট হলে প্রশ্নপত্র অভিভাবকদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দিচ্ছি। পরে আমারা সেটা মূল্যায়ন করছি। এরফলে শিক্ষার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সক্ষম হচ্ছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন রুহিলী জানান, ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি উলিপুর শহরে গুনাইগাছ সড়কে আমীনমোড়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। আবাসিক ও অনাবাসিক হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে নিতে গিয়ে ধীরে ধীরে বেড়ে যায় এর কলেবর। নার্সারি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ১ হাজার ৮৭৪জন শিক্ষার্থী রয়েছে। আবাসিক ভবন রয়েছে ১১টি। এরমধ্যে ছেলেদের জন্য ৯টি এবং মেয়েদের জন্য ২টি। সিট বরাদ্দ রয়েছে ১৭০টি। প্রতিষ্ঠানে ২০জন স্টাফসহ ১৩২জন শিক্ষক রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি জেএসসি পরীক্ষায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে আসছে। ২০১৯সালে নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েই জেলায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে।

পিবিএ/মমিনুল ইসলাম বাবু/এমআর

আরও পড়ুন...