নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : পিপিই-তে আপাদমস্তক ঢাকা! সামনে কে দাঁড়িয়ে, পাশে কে বসে, রোগীর সামনে কে, কাকে ডাকতে হবে- কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। সামনে দাঁড়ানো মানুষকে বারবার জিজ্ঞাসা করে জানতে হচ্ছে, আপনি কি অমুক নার্স বা তমুক ডাক্তার ? রোগীরও ডাক্তার-নার্সদের আসল চেহারা দেখতে পাচ্ছেন না। বিশ্ব জুড়েই হাসপাতাল গুলোতে পিপিই প্রভাব পড়ছে চিকিৎসায়।
বলিউড নায়িকা কারিনা কাপুরের জনপ্রিয় সেই গান ‘‘মেরে ফটোকো ছিনেমে ইয়ার চিপকালে সাইয়্যা ফেভিকল ছে’’। এখন নিজেকে চিনাতেই ছিনেমে ফটো চিপকে নিচ্ছেন বিশ্বের বহু দেশের চিকিৎসক নার্স ও রোগি।
সম্প্রতি ভারতের অরুণাচলপ্রদেশের চাংলাং জেলার জেলাশাসক দেবাংশ নিজ জেলার হাসপাতালগুলিতে বা অন্যত্র সকলকে পিপিই কিটের সামনে নিজের ছবি ও নাম লিখে এ-ফোর মাপের কাগজ সেঁটে বা ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এত করে ফলও মিলেছে। হসাপাতালে সহজেই চিকিৎসক বা রোগিরা প্রয়োজনীয় সেবা পাচ্ছে।
অরুণাচল প্রদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯১। তার মধ্যে চাংলাং জেলাতেই ৫৫ জন। তাই পিপিই পরা ব্যক্তিও তুলনায় বেশি। পাইলট প্রকল্প হিসেবে মিয়াও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে সাফাইকর্মী সকলকেই পিপিই কিটের সামনে নাম ও ছবি লাগানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গত ১০ দিনে মিয়াওয়ে এই পদ্ধতি খুবই জনপ্রিয় হয়েছে। এর পর বরদুমসা ও ডিয়ুনের স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও এই নিয়ম চালু হবে। মিয়াওয়ে রোগী থেকে চিকিৎসাকর্মী সকলেই খুশি এতে। অনেকে বলছেন, সবখানেই এই মডেল করা যেতে পারে!
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের কিছু হাসাপাতালে আগে থেকেই এই ব্যবস্থা প্রচলন হয়েছে। সেটা জেনেই ভারতের ওই কর্মকর্তা নিজ জেলায় ব্যবস্থা নিয়েছেন। একইভাবে নিজেদের পরিচয় তুলে ধরছেন যুক্তরাজ্য ও রাশিয়ার অনেক হাসপাতালেও।
বাংলাদেশের কোভিড হাসপাতাল গুলোতেও একই সমস্যা। সেখানে নাসর্, রোগি, চিকিৎসক আলাদা করা কঠিন। বুকের উপর ছবি ঝুলালে মন্দ হবে না।
পিবিএ/এমএ