পিবিএ, আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবশেষে সরে আসতে রাজি হল ভারত ও চীন।
সংঘর্ষে আহত ভারতীয় সেনাদের দেখতে লাদাখে গিয়ে সেনাপ্রধান এম এম নরবণে বলেছেন ভারতের পক্ষ থেকে কোনও উস্কানি দেওয়া না-হলেও সীমান্ত পাহারায় বিন্দুমাত্র শিথিলতা দেখানো হবে না।
তবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ন এক বিবৃতিতে বলেন, পরিস্থিতি ঠান্ডা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ ব্যাপারে গতকাল কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে যে সমঝোতা হয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছে চীন।
গত কাল চুসুল-মলডো সীমান্তে বৈঠকে বসেন লেফটেন্যােন্ট জেনারেল হরিন্দর সিংহ ও চিনা মেজর জেনারেল লিউ লিন।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে, ১১ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠকে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যে সব এলাকায় দু’দেশের সেনা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, সেখান থেকে পিছিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরানো হবে বাড়তি সেনা ও কামান। তবে কাজটি যে সময়সাপেক্ষ তা মেনে নিয়েছে দু’দেশই। আর ভারতের , এ ধরনের পদক্ষেপ ছোট হলেও সীমান্তে শান্তি ফেরানোর প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ।
তবে গত কালের বৈঠক নিয়ে ভারত এখনো সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি দেয়নি।
তবে প্যাংগং হ্রদ এলাকায় যে বিপুল সংখ্যক চিনা সেনা বাঙ্কার, নজরদারি চৌকি বানিয়ে বসে রয়েছে, তাদের সরানোর ব্যাপারে কতটা সাফল্য পাওয়া যাবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বিশেষ করে ফিঙ্গার ৪ থেকে ফিঙ্গার ৮-এর বিতর্কিত এলাকায় এত দিন দু’সেনার নজরদারি চালালেও, এখন ভারতের পক্ষে পেট্রোলিং করতে যাওয়াই কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিনা সেনা যে ভাবে ওই এলাকায় অবকাঠামো নির্মাণ করে ঘাঁটি বানিয়েছে তাতে কতটা তারা এলাকা ছাড়তে চাইবে তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের প্রাক্তন সেনাকর্মকর্তারা।
পিবিএ/এমএ