প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদায় ১৪ বছরের মধ্যে সর্বাধিক পরিমান ডিম আহরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের অনেক কিছু উন্নয়নের মাঝে এটাও অনন্য সাধারণ একটি উন্নতি। আমরা প্রকৃতিকেও তার স্বাভাবিক রুপে ফেরাতে স্বচেষ্ট। আর এ কাজটি করেছেন একজন প্রকৃতিপ্রেমী ইউএনও মোঃ রুহুল আমিন।
২০১৮ সালের সেপ্টম্বরে তিনি হাটাহাজারীতে ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন। আমরা পিবিএ’র অনুসন্ধাণে জানতে পারি তিনি প্রথমেই হালদার সমস্যা চিহ্নিত করেন। পরবর্তিতে সেসব নির্মূলে পদক্ষেপ নেন। আর মাত্র ২ বছরের মাঝেই ফল আসতে শুরু করেছে।
পাশাপাশি নদী তীরবর্তি স্থানীয় জনসাধারণ, গণমাধ্যমকর্মীরাও তাকে সহযোগীতার মাধ্যমে বিশেষ অবদান রেখেছেন। মোদ্যাকথা সকলের সমণি¦ত প্রচেষ্টায় একটি ভাল কাজ তরাণি¦ত হয়েছে।
আমরা ইউএনও রুহুল আমিনকে সেল্যুট জানাই। প্রত্যাশা করি ইউএনও রুহুল আমিনের এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। আর এভাবে আরো কয়েকবছর চালাতে পারলে হতে পারে হালদার ভান্ডার থেকে দেশের কার্প জাতীয় মাছের চাহিদার সিংহভাগ আনা সম্ভব হবে।
আমাদের অনুসন্ধানে আরো দেখতে পেয়েছি, হালদার ১০০ কি.মি. প্রবাহের মাত্র ২৫ কি.মি. এলাকা হাটহাজারী উপজেলায়। বাকী ৭৫ কি.মি. এলাকায়ও একই রকম ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। মোট কথা হালদার প্রবাহ স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক নিয়মে নিশ্চিত করা জন গুরুত্বপূর্ন। তা ইউএনও রুহুল আমি হাতে কলমে প্রমাণ করেছেন।
আমরা প্রত্যাশা করি যেভাবে হালদায় হাল ফিরেছে। যে প্রকৃয়ায় এটা হয়েছে তা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে এর শ্রী-বৃদ্ধি হবে। তবে ফের অবহেলায় যেন এর বিনষ্ট না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সুজলা-সুফলা শষ্য-শ্যামলা বাংলার চিরায়ত রুপ হালদা প্রকৃতিক নিয়মে প্রবাহমান থাকুক।
পিবিএ/শতাব্দী আলম