লালপুরে সরকারি অনুমতি ছাড়া বিদ্যালয় ভাঙ্গার অভিযোগ

পিবিএ,নাটোর: সরকারি অনুমতি ছাড়াই লালপুর উপজেলার পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনের বারান্দা, দেওয়াল ও খুঁটি ভাঙ্গার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এঘনায় ওই এলাকাবাসী ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে সমালোচনার ঝড়।
শুক্রবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, লালপুর উপজেলার পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনের দেওয়াল, বারান্দা ও খুঁটি ভাঙ্গা হচ্ছে। শ্রমিকরা জানায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাদের ভবন ভাঙার জন্য তাদের নিযোগ করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, বিদ্যালয়টি নতুন ভবন হওয়ার পর থেকে পুরাতন ভবনটি কয়েক বছর ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এ ধরণের বিল্ডিং বা ভবন সরকারি টেন্ডার বা অকশন ছাড়া ভাঙ্গা সম্ভব নয়। তবুও কিসের জোরে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ভবনটি ভাঙ্গার অনুমতি দিয়েছে তা জানা নাই স্থানীয় জনগণের ।
স্কুলের পরিত্যক্ত ভবন ভাংতে সরকারি অনুমতি লাগের এটা জানা ছিল না। তাছাড়া ভবনটি অনেক দিন হল পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে বিধায় শ্রমীক নিয়োগ দিয়েছি বলে জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরজাহান । তিনি আরো জানান, সরকারি নির্দেশনা ছাড়া পরিত্যক্ত ভবন ভাঙ্গা বা সেখান থেকে ইট নেওয়া যাবে না এটা জানা ছিলো না। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির (এসএমসি) রেজুলেশনে শহিদ মিনার করার জন্য সামনের কয়েকটি পিলার ভাঙ্গার কথা আছে। এজন্য ভাঙ্গার নির্দেশ দিয়েছিলাম।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইউসুফ আলী জানান, পুরাতন ভবন ভাঙ্গার আদেশের ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক ভালো বলতে পারবেন। আমার কাছে সরকারি বা ভবন ভাঙ্গা সম্পর্কিত সে রকম লিখিত কোন আদেশ নাই। পুরাতন বিধ্যালয়ের ভবন ভাংগা হয়নি শুধু বারান্দার পিলার ও খুঁটি ভাঙ্গা হয়েছে।
লালপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, সরকারি কোন সম্পদ অনুমতি ব্যতিত ভাঙ্গা বা দখল নেওয়ার কারো সুযোগ নেই। তবে অনুমতি ছাড়া বিদ্যালয়ের সভাপতি বা প্রধান শিক্ষক এটা করতে পারেন না। অবশ্যই এঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি জানান, সরকারি সম্পদ নিয়ম-নীতির বাহিরে ভাঙ্গার কোন সুযোগ নেই। আমি খবর নিয়ে দেখছি।

পিবিএ/মোঃ রাশেদুল ইসলাম/এসডি

আরও পড়ুন...