কম্পিউটার ব্যবহারকারিদের চোখের যত্নে করণীয়

চোখের যত্ন

পিবিএ ডেস্ক: সারা ক্ষণ মোবাইল বা ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকা, ঘন ঘন টিভি দেখা কিংবা একটানা কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকার রুটিনে অভ্যস্ত অনেকেই। বর্তমানে কর্মব্যস্ত জীবনে চোখের যত্ন আর ক’জন নেন! তার সঙ্গে পরিবেশের দূষণ, কর্মপদ্ধতি ইত্যাদি নানা কারণেই চোখের সমস্যায় পড়ি আমরা।

একটানা কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকাই হোক বা ঘন ঘন মোবাইল দেখা— একটা সময়ের পর চোখে চিনচিনে ব্যথা, চোখ থেকে জল পড়া, চোখের ক্লান্তি ইত্যাদি অসুবিধা হানা দেয়। অকালে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ারও অন্যতম কারণও চোখের এই অবিরাম কাজ করে চলা।

কিন্তু পেশাগত কারণে অনেকের পক্ষেই সাত-ঘণ্টা একটানা কম্পিউটার বা মোবাইল থেকে চোখ সরানো সম্ভব হয় না। কিন্তু জানেন কি, কিছু কৌশল আয়ত্তে আনলে এত ব্যস্ততার মাঝেও আপনার চোখ ভাল থাকতে পারে সহজেই। চোখের পাতা ও চোখের মণির জন্য অত্যন্ত উপকারী এমন কিছু ব্যায়াম অভ্যাস করলে সহজেই ঠেকাতে পারবেন চোখের নানা সমস্যা।

হাতের তালু দু’টি একসঙ্গে এনে একে অপরের সঙ্গে ঘষুন। এতে হালকা একটা উত্তাপ সৃষ্টি হয়। এ বার সেই উত্তপ্ত তালু চোখ বন্ধ করে চোখের পাতার উপর ধরে থাকুন। এই অবস্থায় আলতো চাপ দিন চোখে। দিনের মধ্যে বার কয়েক এমন করলে চোখ তার প্রয়োজনীয়তা উষ্ণতা পাবে। অতিরিক্ত

সক্রিয় থাকার কারণে যে ক্লান্তি তৈরি হয়, তা-ও কাটবে।

একটানা কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহার করলে মাঝে মাঝেই চোখের পলক ফেলুন। এমনিতে চোখের তেমন কোনও সমস্যা না থাকলে স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াতেই ঘন ঘন চোখের পলক পড়ে। যদি একটানা চোখের পরিশ্রমের কাজ করেন, তবে এই পলক ফেলার কাজটি নিজেও চেষ্টা করে করুন। এক মিনিট ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলা একটি ব্যায়ামের মতো কাজ করে। এতে চোখ বেশি ক্ষণ শুষ্ক থাকে না।

চক্ষুবিশেষজ্ঞের মতে, ‘টি-২০’ নিয়ম মেনে চলুন চোখের ক্ষেত্রেও। কেমন তা? চিকিৎসকদের মতে, একটানা মোবাইল, কম্পিউটার বা ট্যাব ব্যবহারের সময় প্রতি ২০ মিনিট অন্তর স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে ২০ ফুট দূরের কোনও বস্তুতে ২০ সেকেন্ডের জন্য চোখ রাখুন। এতে চোখ আরাম পাবে। স্ক্রিন থেকে আসা আলো চোখের যে ক্ষতি করে তাকেও অনেকটা রুখে দেবে এই নিয়ম।

একবার ঘড়ির কাঁটার অভিমুখে। আর একবার ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে। এ ভাবে দুই অভিমুখেই অন্তত চার বার চোখ ঘোরান। এই ব্যায়ামের পর কয়েক সেকেন্ড চোখ বুজে থাকুন। চোখের পেশি ভাল রাখতে সহায়তা করে এই ব্যায়াম।

পিবিএ/ইএইচকে

আরও পড়ুন...