‘মোদীপ্রেম’ থেকে বিয়ে, পরে নির্যাতনের অভিযোগ!

gujrat

পিবিএ ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি প্রেম এক ছাদের নীচে নিয়ে এসেছিল জয় দাভে ও আল্পিকা পান্ডেকে। অথচ মাস ঘুরতে না ঘুরতেই অশান্তির মেঘ তাদের সংসারে। স্বামীর বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ আনলেন আল্পিকা। কয়েকমাস আগে গুজরাট নিবাসী জয় দাভে নিজের এবং তার স্ত্রীর একটি ছবি দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সমর্থন করে ‘নমো এগেইন’ লেখা টি-শার্ট পরে দু’জনের ছবি দিয়ে তিনি লেখেন যে, ‘আপনাকে সমর্থন করেই আমাদের প্রেম, দেখা হওয়া।’ কিন্তু তারপরেই ওই ব্যক্তির স্ত্রী আল্পিকা পান্ডে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন ওই টুইটের প্রেক্ষিতেই। নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে লাগাতার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ আনেন তিনি।

কয়েক মাস আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর টুইটার হ্যান্ডলে নরেন্দ্র মোদীর পক্ষে একটি কমেন্ট করেছিলেন জয় দাভে নামের ওই ব্যক্তি। সেই কমেন্টটিতে ‘লাভ’ রিঅ্যাক্ট করেছিলেন আল্পিকা নামের সেই তরুণী। নরেন্দ্র মোদীর পক্ষে করা সেই টুইটই তাদের কাছাকাছি নিয়ে এসেছিল বলে জানিয়েছিলেন তারা। গত বছর ৩১ ডিসেম্বর দু’জনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু তারপরই জয়ের অন্য একটি রূপ তার সামনে আসে বলে জানান প্রিয়াঙ্কা।

তিনি জানিয়েছেন যে, তার শ্বশুরবাড়িতে বিন্দুমাত্রও স্বাধীনতা নেই তার। সব সময় নিজের স্বামী তো বটেই, এমনকি, তার শ্বশুর-শাশুড়ীরও নজরবন্দি হয়ে থাকতে হয় তাকে। সব সময় তিনি কী করছেন, কোথায় যাচ্ছেন সেই দিকে নজর রাখা হয়। বাথরুমে বেশি সময় কাটালেও সেখানেও তিনি কী করছিলেন বলে প্রশ্ন তোলেন তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। এছাড়াও বাড়ি থেকে একা বেরোনোর অধিকার নেই প্রিয়াঙ্কার। কাউকে না কাউকে সঙ্গে নিয়ে বেরোতে হয় তাকে। তার মোবাইল ফোনও যখন তখন দেখতে চান জয়।

এই মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই গত ১ ফেব্রুয়ারি শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে গিয়ে উঠেছেন আল্পিকা। মানসিক অত্যাচারের সঙ্গেই শ্বশুর বাড়িতে লাগাতার শারীরিক অত্যাচারেরও শিকার হয়েছিলেন তিনি বলে অভিযোগ করেছেন আল্পিকা। অতিষ্ঠ হয়ে একসময় সুইসাইড করার কথাও ভেবেছিলেন তিনি। এখনও তার এই সমস্ত টুইট মুছে ফেলার জন্য তার শ্বশুর বাড়ি থেকে লাগাতার চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আল্পিকা।

পিবিএ/জিজি

 

 

আরও পড়ুন...