যবিপ্রবির সহকারী হিসাব রক্ষক করোনায় আক্রান্ত

মোসাব্বির হোসাইন,যবিপ্রবি: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) হিসাব দপ্তরের সহকারী হিসাব রক্ষক তরিকুল ইসলাম করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আজ বুধবার সকালে যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে প্রকাশিত করোনা পরীক্ষার ফলাফলে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
করোনা আক্রান্ত তরিকুল ইসলাম জানান, গত সপ্তাহে আমি সর্বশেষ অফিস করেছি। তারপর বাড়িতে গেলে আমার করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। যার প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার কভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা দিই আর আজ বুধবার প্রদত্ত ফলাফলে আমার করোনা পজিটিভ এসছে। তবে আমি শারিরীকভাবে সুস্থ আছি এবং নিজ বাড়িতেই থেকে চিকিৎসা নিচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. দীপক কুমার মন্ডলের নির্দেশনায় নিজ বাি তেই সকল প্রকার চিকিৎসা ও পরামর্শ নিচ্ছেন। তরিকুল ইসলামের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানার বারবাজারের মোল্লাডাঙ্গা গ্রামে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের যিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তিনি ক্যাম্পাসের বাইরে থাকেন। তার করোনা পজিটিভ ফলাফল আসার পর তিনি যে দপ্তরে কর্মরত ছিলেন সেখানকার সকলের, যার যার সাথে মিশেছেন এবং তার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের যে কেউ আমাদের ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করাতে পারবে। চিকিৎসক ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নমুনা যেভাবে খুব বেশী গুরুত্বসহকারে পরীক্ষা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয পরিবারের সকলেরটাই তেমন গুরুত্বসহকারে পরীক্ষা করা হবে। তাছাড়া শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয পরিবারের সদস্যদের নমুনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগৃহীত হবে। বিশ্ববিদ্যায়ের অভিজ্ঞ ডাক্তার ও এক্সপার্টরা রয়েছেন তারাই এসকল কাজ সম্পাদন করবেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, তরিকুল ইসলামের ফলাফল করোনা পজিটিভ আসার পর হিসাব দপ্তরের প্রায় ১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে করোনা পরীক্ষার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারী জানান, জীবনের ঝুকি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিস করতে হচ্ছে, সময়-অসময়ে উর্দ্ধতন নির্দেশে অফিসে আসতে হচ্ছে। আমাদেরও তো পরিবার পরিজন আছে আর তাদেও নিরাপত্তার বিষয়টিও আমাদেরকেই দেখতে হয়। যেখানে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো করোনা পরীক্ষার জন্য লকডাউন করা হচ্ছে সেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সবার অবাধ বিচরণ দেখে মনে হচ্ছে এসব নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো মাথাব্যথা নেই। খুব দ্রুত ক্যাম্পাস লকডাউন করে অফিস আরও সীমিত পরিসরে চালানো উচিত যাতে করে ক্যাম্পাসে করোনার বিস্তার না ঘটে। না হলে যবিপ্রবি চীনের উহান শহরের ন্যায় হবে।

পিবিএ/এসডি

আরও পড়ুন...