coo
রফিকুল ইসলাম ফুলাল,দিনাজপুর: নতুন আরো ৩৬ জনসহ দিনাজপুরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৮৪৪ জন। বুধবার ১৮জন নতুন সুস্থ্যসহ মোট সুস্থ্য ৪৬৪ জন ও মৃত্যুবরন করেছে ১৬ জন।
দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা: মো: আব্দুল কুদ্দুছ বুধবার রাত ৯টা সাংবাদিকদের জানান, ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন করে আরো ৩৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগির সংখ্যা দাড়ালো ৮৪৪ জনে। নতুন ১৮ জনসহ সুস্থ হয়েছে ৪৬৪ জন। আর গত ২৪ ঘন্টায় বীরগঞ্জে একজনসহ এ পর্যর্ন্ত মোট ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নতুন আক্রান্ত ৩৬ জনের মধ্যে দিনাজপুর সদর উপজেলায় ৭ জন, কাহারোলে ৭ জন, ঘোড়াঘাটে ৫ জন, বিরলে ৪ জন, চিরিরবন্দরে ৪ জন, বীরগঞ্জে ৩জন, নবাবগঞ্জে ৩ জন, ফুলবাড়ীতে একজন ও বিরামপুর উপজেলায় দুইজন। আর নতুন সুস্থ ১৮ জনের মধ্যে সদরে ৩ জন, নবাবগঞ্জে ৩ জন, খানসামায় ৬ জন ও চিরিরবন্দর উপজেলায় ৬ জন।
তিনি জানান, আক্রান্ত ৮৪৪ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ২৮৮ জন (মৃত ৩ জনসহ), বিরলে ৫৫ জন, বোচাগঞ্জে ২২ জন (মৃত দুইজনসহ), কাহারোলে ৪৩ জন (মৃত দুইজনসহ), বীরগঞ্জে ৩০ জন (মৃত দুইজনসহ), খানসামায় ৪৪ জন (মৃত একজনসহ), চিরিরবন্দরে ৬৮ জন (মৃত ৩ জনসহ), পার্বতীপুরে ৬২ জন (দুইজন মৃতসহ), ফুলবাড়ীতে ২৮ জন (মৃত একজনসহ), বিরামপুরে ৯২ জন, নবাবগঞ্জে ৪৮ জন, হাকিমপুরে ৯ জন ও ঘোড়াঘাটে ৫৫ জন (মৃত একজনসহ)।
অপরদিকে সুস্থ ৪৬৪ জনের মধ্যে দিনাজপুর সদর উপজেলায় ১৫৬ জন, বিরলে ৩৮ জন, বোচাগঞ্জে ১৯ জন, কাহারোলে ১৯ জন, বীরগঞ্জে ১৯ জন, খানসামায় ১৭ জন, চিরিরবন্দরে ৪১ জন, পার্বতীপুরে ৩৫ জন, ফুলবাড়ীতে ১৮ জন, বিরামপুরে ৩৫ জন, নবাবগঞ্জে ৩০ জন, হাকিমপুরে ৫ জন ও ঘোড়াঘাট উপজেলায় ৩২ জন।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৪ জন, বোচাগঞ্জে দুইজন, কাহারোলে একজন, বীরগঞ্জে দইজন, খানসামা একজন, চিরিরবন্দরে ৩ জন, পার্বতীপুরে একজন, ফুলবাড়ীতে একজন ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় একজন। তিনি জানান, দিনাজপুর জেলায় এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ১৬ জন এবং করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে আরো ২০ জন।
সিভিল সার্জন জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ১৪৬টি নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩৬ জনের নমুনায় করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।
এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ১০৭টিসহ ৭ হাজার ৭৮৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আর গত ২৪ ঘন্টায় ১৪৬টিসহ ৭ হাজার ৬৯৩টি নমুনা পরীক্ষার করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ২২৫ জনসহ ১৩ হাজার ৯২৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে। আর বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছে ৩৪৩ জন, প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রয়েছেন ৭ জন, হাসপাতালে ভতি রয়েছেন ১৪ জন ও ১৬ জনের হয়েছে।
পিবিএ/এসডি