পিবিএ ডেস্ক: অবিশ্বাস্য হলে হলে সত্য। ভারতে একটি মোরগকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । আর তার খবর ফলাও করে ছাপা হয়েছে ভারতীয় অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
একেই বলে আইন আর পুলিশি মারপ্যাচ। তাদের কবল থেকে রেহাই নেই কোনো অপরাধীরই। এতদিন শোনা যেতো পুলিশ মানুষকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু তাদের আইনি মারপ্যাচে এবার রেহাই পায় নি একটি মোরগও। ৫ বছর বয়সী একটি মেয়ের চিবুকে ঠোকর দেয়ার অপরাধে ওই মোরগকে আটক করে ভারতের মধ্যপ্রদেশের পুলিশ। এ বেদনায় ভেঙে পড়েন তার মালিকিন। মোরগটির মালিক একজন নারী। তিনি পুলিশ স্টেশনে গিয়ে হাজির।
সেখানে মোরগের মুক্তি চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। দাবি তুললেন, প্রয়োজনে আমাকে জেলে ঢুকিয়ে দিন। আমার মোরগটাকে হত্যা করবেন না প্লিজ।
পুলিশ বলেছে, ওই মোরগটির মালিক এক দম্পতি। তাদের কোন ছেলেমেয়ে নেই। তাই এক বছর আগে তারা ৫ রুপি দিয়ে কিনে নিয়েছেন একটি মোরগছানা। তাকে নিজের ছেলে মনে করে তার সমধিক যত্ন নিতে থাকেন। আদরে আদরে ভুলিয়ে রাখেন। চোখের আড়াল হতে দেন না। এখন সে এক বছর বয়সী ‘যুবক মোরগ’।
শিবপুরী রোড পুলিশ স্টেশনের কর্মকর্তারা বলেছেন, সম্প্রতি তাদের কাছে ওই এলাকার একজন অধিবাসী অভিযোগ নিয়ে যান। তাতে বলা হয়, ওই মোরগটি তাদের মেয়ের চিবুকে ঠোঁকর দিয়ে রক্ত বের করে ফেলেছে। তাদের মেয়ের বয়স ৫ বছর। তার নাম রাধিকা। বার বার চার বার তাকে ওই মোরগটি ঠোঁকর দিয়েছে। এতে তার রক্তপাত হয়েছে।
এমন অভিযোগ পেয়ে মোরগের মালিক পাপ্পু যাদব ও তার স্ত্রী লক্ষ্মীকে তলব করেন তদন্তকারীরা। তারা পুলিশ স্টেশনে পৌঁছার পর পুলিশ সদস্যদের অন্যরা বলতে থাকেন, অপরাধীকে ধরা উচিত। ব্যস, মোরগটিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ জন্য কান্নায় ভেঙে পড়েন পাপ্পুর স্ত্রী লক্ষ্মী। তিনি পুলিশের কাছে অনুনয় করেন, আমার মোরগকে হত্যা না করে আমাকে জেলে ঢুকিয়ে দিন। ওটা মোরগ নয়। ও আমার ছেলে।
পরে উভয় পক্ষের মধ্যে বোঝাপড়ার ভিত্তিতে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়।
পিবিএ/ এমআই