শাহেদের ভায়রা ভাই র‌্যাব হেফাজতে

মনির হোসেন জীবন,পিবিএ: বেসরকারী রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
অপর দিকে, সাহেদের ভায়রা ভাই মোহাম্মদ আলী বশিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে এলিট ফোর্স র‌্যাব।এছাড়া বিতর্কিত বেসরকারী রিজেন্ট হাসপাতালের দুর্নীতি তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত।
বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
এছাড়া আজ বিকেলে পুলিশ সদর দফতর সূত্রে শাহেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা বিষয়টির এ তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ সদর দফতরের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাসসকে জানান, মো. সাহেদ দেশত্যাগ করতে পারেন, এই আশঙ্কা থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশকে তাকে দেশত্যাগ করতে না দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহভাজনদের নমুনা নিয়ে তা পরীক্ষা না করা, ভুয়া রিপার্ট দেওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে গত ৭ জুলাই সাহেদকে প্রধান আসামীসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করে র‌্যাব। যার মামলা নম্বরর-৫।
প্রতারক সাহেদের মুখপাত্র গ্রেফতার, ভায়রা র‌্যাবের হেফাজতে :
এদিকে, আজ সকালে রাজধানীর নাখালপাড়া থেকে রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের মুখপাত্র তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।
অপর দিকে সাহেদের ভায়রা ভাই মোহাম্মদ আলী বশিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে এলিট ফোর্স র‌্যাব। তিনি নাটক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘টেলিহোম’-এর প্রধান বলে জানা গেছে।
র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং-এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ আজ গনমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তারেক শিবলীকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার কাছ থেকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচ্ছি। তিনি সাহেদের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করতেন।
র‌্যাবের গনমাধ্যম শাখার মূখপাত্র আরও জানান, গত ৭ জুলাই রাতে বনানী থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয় সাহেদের ভায়রা মোহাম্মদ আলী বশিরকে। অভিযোগ রয়েছে সাহেদের অবৈধ টাকা দিয়ে আলী বশির নাটক প্রযোজনা করতেন। এই অভিযোগে এবং সাহেদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আনা হয়েছে।
তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে কিনা, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
এদিকে, বিতর্কিত রিজেন্ট হাসপাতালের দুর্নীতি তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত।
আজ বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়মের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করবো।
রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদর দুর্নীতির অনুসন্ধান অচিরেই শুরু হবে বলেও জানান দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত।
তিনি আরও বলেন, অনুসন্ধানের স্বার্থে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কারো নাম জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসলে তাদেরও তলব করা হবে।
পিবিএ/এসডি

আরও পড়ুন...