পিবিএ,ঢাকা: আজ ১১ জুলাই, বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। ‘কোভিড-১৯ কে প্রতিরোধ করি, নারী ও কিশোরীর সুস্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিত করি’ স্লোগানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হবে।
বাংলাদেশের পরিবার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে বেশ অগ্রগতি হলেও এই করোনার সময়ে এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণসহ নারী ও কিশোরীদের সুস্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে বড় চ্যলেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বলে অনেকে মনে করছেন।
এ দিবস উপলক্ষে আজ বেলা ১১টায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের আইইএম ইউনিট এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান। অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ পরিবার পরিকল্পনা কর্মী ও শ্রেষ্ঠ সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেয়া হবে। একইসঙ্গে মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ও মিডিয়া ফেলোশিপ ২০২০ দেয়া হবে।
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি চলমান থাকলে এবং লকডাউন পরিস্থিতি যদি আরও ছয় মাস দীর্ঘ হয় তাহলে নিম্ন-মধ্যম ও নিম্ন আয়ের ১১৪ দেশে ৪৭ মিলিয়ন (৪ কোটি ৭০ লাখ) নারী আধুনিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি থেকে বঞ্চিত হবেন। আর অতিরিক্ত ৭ মিলিয়ন (৭০ লাখ) নারী অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের শিকার হবেন।
প্রতিবেদন অনুসারে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বাল্যবিবাহের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। বিশ্বে ১৩ মিলিয়ন (১ কোটি ৩০ লাখ) বাল্যবিবাহ হবে। এর মধ্যে ৮ মিলিয়ন (৮০ লাখ) বাল্যবিবাহ হবে শুধু বাংলাদেশে। যেখানে বাল্যবিবাহের হার ৫০ শতাংশেরও বেশি।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির গভর্নিং কাউন্সিল জনসংখ্যা ইস্যুতে গুরুত্ব প্রদান ও জরুরি মনোযোগ আকর্ষণের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৯০ সালের ১১ জুলাই প্রথমবারের মতো ৯০টি দেশে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপিত হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হচ্ছে।
পিবিএ/এসডি