রাজধানীর আদাবরে ইয়াবাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

পিবিএ,ঢাকা: মাদকাসক্তি একটি বহুমাত্রিক সামাজিক সমস্যা। যে যুব সমাজ দেশ ও জাতির আগামী দিনের চালিকাশক্তি, তাদের একটি অংশ মাদকাসক্তির কবলে পড়ে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। মাদকাসক্ত তরুণরা কর্মশক্তি, মেধা ও সৃজনশীলতা হারিয়ে নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও আদর্শ হতে বিচ্যূত হয়, যা দেশ ও জাতির জন্য বয়ে আনে অপূরণীয় ক্ষতি। র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময়ই মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে এবং এই পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ দেশী/বিদেশী অবৈধ মাদক উদ্ধার করে সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১১/০৭/২০২০খ্রিঃ তারিখ ০০.৪৫ ঘটিকায় র‌্যাব-২ এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কুমিল্লা হতে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী পরষ্পর যোগসাজসে আমদানী নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট (মাদক) নিয়ে মিরপুর রোড হয়ে ঢাকা হেমায়েতপুর এলাকায় বিক্রয়ে উদ্দেশ্যে নিয়ে আসছে।

প্রাপ্ত সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের নিমিত্তে র‌্যাবের আভিযানিক দল ০১.০০ ঘটিকায় ডিএমপি ঢাকা মহানগরীর আদাবর থানাধীন শ্যামলী স্কয়ার এর সামনে একটি চেকপোষ্ট পরিচালনা করে। অতপর ০১.৩০ ঘটিকার সময় চেকপোষ্ট চলাকালীন হঠাৎ লক্ষিত হয় কিছু দূরে দুই জন লোক দ্রুত সিএনজি থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করছেন। পালানোর চেষ্টাকালে আসামী ১। মোহাম্মদ হৃদয় হোসেন, ২। মোহাম্মদ আনাস,কে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে ইয়াবার চালান সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে অস্বীকার করে। পরবর্তীতে তাদের হাতে থাকা শপিং ব্যাগ তল্লাশি করে ৫,০০০ এবং অপর আর একটি ব্যাগ থেকে ৬,০০০ মোট ১১ হাজার নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য (ইয়াবা ট্যাবলেট) উদ্ধার করা হয়। যার বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ৩৫,০০,০০০/- টাকা। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায়, তারা পরষ্পর যোগসাজোসে দীর্ঘ দিন যাবৎ কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, টেকনাফ সীমান্ত এলাকা হতে মাদক দ্রব্য (ইয়াবা) ক্রয় করে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য (ইয়াবা ট্যাবলেট) সুকৌশলে ঢাকায় নিয়ে এসে সরবরাহ ও বিক্রয় করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায়, বর্তমান যুব সমাজে ইয়াবার ব্যাপক চাহিদা থাকায় চড়া দামে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে তারা পরস্পর যোগসাজোসে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, টেকনাফ সীমান্ত এলাকা হতে ইয়াবা সংগ্রহ করে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নিত্য নতুন কৌশল ব্যবহার করে (নিষিদ্ধ মাদক) ইয়াবা ট্যাবলেট রাজধানীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ ও বিক্রয় করে আসছে এবং ইতোপূর্বেও বেশ কয়েকটি ইয়াবার চালান সফলতার সহিত সরবরাহ করেছে বলে জানায়। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতেও এ ধরনের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।

পিবিএ/এসডি

আরও পড়ুন...