নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : নগর জীবনে জলাবদ্ধতা দেখতে চাইলে টঙ্গী আসুন। জলাবদ্ধতার দূর্ভোগ পোহাতে হলে টঙ্গীতে বসবাস করুন। এখানে একজন নগর পিতা আছেন। মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। যিনি কথায় স্বপ্নবাজ এবং কথায় নতুন প্রজন্মকে প্রতিদিন নতুন নতুন স্বপ্ন দেখান। জনসাধারণ এখনো স্বপ্নে আছেন নগর পিতা হয়ত এসব জনদূর্ভোগ লাঘবে উদ্যোগি হবেন।
জাহাঙ্গীর আলমের মেয়াদ কালের ২ বছর পরও বাস্তবতা হচ্ছে নগর সুবিধায় পরিবর্তনের কোন লক্ষণই নেই। আর তিনি যে মাষ্টার প্লানের কথা বলেন তা এখন তার নিজের মুখেও তেমন আর উচ্চারিত হতে শুনা যায় না। বর্তমানে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নে প্রাধান্য থাকে (অবশ্য তার নিজের এটিএন ছাড়া) সিটির উন্নয়নের চাইতে সিটির দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তাদের হালহকিকত আর হতাহতের(দেলায়ার হত্যাকন্ড) কথা।
সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে টঙ্গীর জলাবদ্ধতার ছবি। সামান্য বৃষ্টি হলেই টঙ্গীর কেন্দ্রস্থল টঙ্গী স্টেশন রোড, পূর্ব থানার ভিতর-বাহির, উড়াল সেতুর নীচে পানি জমে। বৃষ্টির পানি কয়েক ঘন্টায় নেমে যাবার কথা। অথচ এখানে কয়েকদিন এই পানি থাকবে। পানি চলাচলের ড্রেনেজ ব্যবস্থা এতটাই নাজুক।
স্টেশন রোড ছাড়াও এর আশপাশে জলাবদ্ধতা থাকে। তাছাড়া বিসিক এলাকা দক্ষিণ দিকে, জামাই বাজার, বউবাজার, ৫৪ নং ওয়ার্ডে চেরাগ আলী, তিস্তার গেট, দত্তপাড়া এলাকা জলাবদ্ধতা আছে।
মানুষ জলাবদ্ধতার দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে অনেকে দিস্তা দিস্তা লিখে যাচ্ছেন। আর নগর পিতা যিনি আসেন তিনি গল ভারা আশ^াস দিয়েই ক্ষান্ত। বাস্তবে সমস্যা সমাধান হচ্ছে না।
সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গী জোনের নির্বাহী কর্মকর্তার মুঠোফোনে কয়েকবার চেষ্টা করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
পিবিএ/মোহাম্মদ আলম