পিবিএ,গাইবান্ধা: গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির পানি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে গাইবান্ধার বড় ও ছোট নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ব্রহ্মপুত্র এবং তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে। ১২ জুলাই রবিবার সকালে ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে এবং বিপদসীমা অতিক্রম করেছে তিস্তা নদীর পানি। সেইসঙ্গে যমুনা, কাটাখালি ও করোতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। পানিবৃদ্ধির কারণে দ্বিতীয় দফায় বন্যা দেখা দেয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে জেলার সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি এবং সাঘাটা চার উপজেলার ২৬৫টি চর এবং এবং নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের মানুষ। এছাড়াও করতোয়া নদীর গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী অংশে বেশকিছু স্থানে দেখা দিয়ে নদী ভাঙ্গন। প্রথম দফায় বন্যার পর বাড়ি ঘরে ফিরে যাওয়া বানভাসী মানুষ তারা আবার নতুন করে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে শুরু করেছে। পরিবার পরিজন এবং গবাদীপশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। গাইবান্ধার চরাঞ্চলে বসবাসকারী প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন। অপর দিকে জেলার নদী গুলোতে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হওয়ার ভিটামাটি ছাড়া হয়েছে শতাধিক পরিবার এছাড়াও স্কুলসহ বিভিন্ন বেসরকারি অবকাঠামো নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে। দেখা দিয়েছে খাদ্য , বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট।
পিবিএ/আশরাফুল ইসলাম/এসডি
https://youtu.be/s1X-y71Ysnk