পিবিএ,ঢাকা: র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, খুনী, ধর্ষক, দেশাদ্রোহী, সাইবার অপরাধী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করছে। এছাড়াও র্যাব বিভিন্ন মামলার ছায়া তদন্তসহ আসামী গ্রেফতারে অগ্রনী ভুমিকা পালন করে আসছে।
উল্লেখ্য যে, গত ২৯ জুন ২০২০ ইং তারিখ আনুমনিক ০৯.৩০ ঘটিকায় দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন ফরাশগঞ্জ ঘাট সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে ময়ূর-২ নামক একটি লঞ্চ এর ( ঢাকা-চাঁদপুরগামী) ধাক্কায় মর্নিংবার্ড নামক একটি লঞ্চ যাত্রীসহ ডুবে যায়। এতে ৩২ জনের প্রানহানি ঘটে। মর্নিংবার্ড লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জ থেকে যাত্রী নিয়ে সদরঘাট আসছিল। মর্মান্তিক এই লঞ্চ ডুবির ঘটনায় গত ৩০/০৬/২০২০ইং তারিখ দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়। এরই প্রেক্ষিতে লঞ্চ ডুবির ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব-১০ তৎপর হয়।
সোমবার র্যাব-১০ এর উপ-অধিনায়ক মেজর শাহরিয়ার জিয়াউর রহমান, পিএসসি এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ এলাকা থেকে ময়ূর-০২ লঞ্চের মাষ্টার মোঃ আবুল বাসার (৫৭), পিতা- মৃত সিরাজুল হক মোল্লা, সাং-কলাগাছি, পোঃ- মন্ডলগাতি, থানা-মহম্মদপুর ও জেলা-মাগুরা’কে গ্রেফতার করে। উল্লেখ্য যে, ধৃত আসামী উক্ত লঞ্চ ডুবির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ০২নং এজাহারভূক্ত আসামী। ঘটনার পর থেকে মোঃ আবুল বাসার আত্মগোপনে চলে যায়। সে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপন করে আসছিল। ঘটনার দিন সে মাগুরাতে নিজ গ্রামে চলে যায় এবং রাতের খাবার খেয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের একটি বাড়ীতে রাত্রীযাপন করে। পরেরদিন ফরিদপুরে আলফাডাংগা যায় এবং সেখানে দুই দিন অবস্থান করার পর ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার আখালিপাড়া তার ভায়রার ভগ্নীপতির বাড়ীতে অবস্থান করে। এরপর স্থান পরিবর্তন করার জন্য ঢাকার দিকে আসছিল। অবশেষে র্যাব-১০ এর আভিযানিক দলটি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তার অবস্থান জানতে পেরে তাকে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ধৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্থান্তর করা হবে।
পিবিএ/এসডি