স্বাস্থ্যবিধি মেনেই যশোর ৬ আসনে ভোটগ্রহণ চলছে

পিবিএ,বেনাপোল (যশোর): করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যশোর ৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।
নির্বাচনে দুই লাখ তিন হাজার ১৮ জন ভোটার ভোট প্রদানের মাধ্যমে প্রায় ছয় মাস অভিভাবকহীন এই আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচন করবেন। নির্বাচনে আসনটিতে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার ও লাঙল প্রতীকের প্রার্থী জাতীয় পার্টির নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব। নতুন করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় মাঠে নামেননি ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হোসেন আজাদ। যদিও ব্যালটে প্রতীকটি থাকছে। নির্বাচনকে নির্বিঘ্ন করতে মাঠে নেমেছে বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
যশোর জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভোটগ্রহণ অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় দুইজন জুডিশিয়াল ও ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছে। ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। ১৮টি মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের ছয়টি টিম নির্বাচনের মাঠে সার্বক্ষণিক কাজ করবে। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার-ভিডিপি সদস্যদের নিয়োজিত রাখা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ভোটারদের জন্য অবশ্য প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যানারসহ হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান, টিস্যু পেপারের ব্যবস্থা রেখেছে। পরামর্শ দেয়া হয়েছে ভোট দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করার। করোনার সংক্রমণ ভোটারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে প্রতিটি কেন্দ্রের প্রবেশে পথে সাবান পানির ব্যবস্থা করেছে। সেই সঙ্গে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
যশোর জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, যশোর-৬ আসনের উপ-নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ইতোমধ্যে এলাকায় টহল দিচ্ছে। এই আসনের ৩৭৪টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভোট উপহার দিতে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পাঁচজন করে পুলিশ সদস্য ও ১২ জন আনসার সদস্য রয়েছে।
চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি সংসদ সদস্য ও সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য হয়। এরপর বিজ্ঞপ্তি জারি করে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ২৯ মার্চ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত থাকলেও তার এক সপ্তাহ আগে করোনার কারণে ২২ মার্চ ওই নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।

পিবিএ/শেখ নাছির উদ্দিন/এসডি

আরও পড়ুন...