নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করলেন এমপি ও ডিসি

মো. হুমায়ুন কািবর, গৌরীপুর: ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার একাংশ এলাকা ভাংনামারী ইউনিয়নের উজান কাশিয়ার চরের কয়েকটি গ্রাম ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনের কবলে পরেছে এর ফলে ইউনিয়নের সরকারী আবাসন প্রকল্পসহ কৃষি জমি,পোল্ট্রি ফার্ম,গরুর ফার্ম সহ,শত শত বাড়িঘর বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে ভাঙ্গনের কারণে উজান কাশিয়ারচর এলাকাসহ কয়েকগ্রামের মানুষের বিদ্যুৎ সুবিধার জন্য বাস্তবায়িত হওয়া ১১কেভি বিদ্যুৎতের নতুন লাইন বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভাংনামারী ইউনিয়নের উজান কাশিয়ার চরের প্রায় শতাদিক একর জমি নদের ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করতে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল,পূর্বে একাধিক বার এই প্রচেষ্টা নেওয়া হলেও তা কার্যকর না হওয়া চলতি বছরের নদের ভাঙ্গনে এলাকার নতুন বিদ্যুৎ এর খুটির লাইনসহ কয়েকটি গ্রাম পুরোপুরিভাবে বিলীন হয়ে যাচ্ছে সেই সাথে এলাকায় অবস্থিত সরকারী আবাসন প্রকল্পসহ প্রায় দুইশতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা রক্ষার জন্য ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডে এর আগে আবেদন করে হয়েছিলো, এখনো পর্যন্ত সেই তৎপরতা অব্যহত আছে, গত দুইবছরে উজান কাশিয়ার চর এলাকার আব্দুর রহমানের গোদারা ঘাট থেকে মনিরুজ্জামান মনিরের বাড়ী পর্যন্ত ৬-৭শত মিটার এলাকা ভাঙ্গনের জন্য সবচেয়ে বেশী ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ওছাড়াও কেবি আই রোড থেকে সুতিয়াখালী খেচুর মোড় পর্যন্ত এলজিইডি এর একমাত্র রাস্তাও ভাঙ্গনের মুখে পড়বে বলে স্থানীয়দের আশঙ্কা। উজান কাশিয়ার চর এলাকার কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত জানান-নদটি বিদ্যিতের খুটির লাইন থেকে প্রায় দুইশত ফিট দূরে অবস্থিত ছিলো ভাঙ্গনের ফলে দ্রুতই বিদ্যুত খুটি ধ্বশে পড়াসহ এলাকার, অনেকগুলো বাড়িঘরও ভাঙ্গনের মুখে পতিত হয়েছে। যদি পুর্ব থেকেই এর ভাঙ্গন ঠেকানো যেত তাহলে হয়তো বিদ্যুতের খুটিগুলো রক্ষা করা যেত স্থানীয়দের দাবী।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে, ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুন নুর খোকা বলেন, “আসলে উজান কাশিয়ার চর এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিলো বিদ্যুৎ। আর এই স্বপ্ন যখন বাস্তবায়িত হতে চলছে ঠিক তখনই ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গনে বিদ্যুৎ লাইনের খুটিসহ এলাকার অনেক বাড়িঘর এমন ক্ষতির সম্মুখীন, খুটি দেয়ার আগে যদি নদী রক্ষা বাদ দেওয়া যেতো তাহলে হয়তো বিদ্যুতের লাইনটি রক্ষা করা সম্ভব হতো বলে জানান তিনি। বন্যায় ভাংনামারী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙ্গন ধরেছে,যার ফলে ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ভেঙ্গে গৃহহীন হয়ে পড়েছে কয়েক শতাধিক মানুষ, ভাঙ্গনের কারণে ঘরবাড়ী,স্কুল প্রতিষ্ঠান,পোল্ট্রি ফার্ম,গো ফার্মসহ বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এমন খবর শুনে সোমবার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন স্থানীয় এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দীন আহমেদ ও জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান। ইউনিয়নের ভাটীপাড়া,উজান কাশিয়ার চর,খোদাবক্সপুর সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন তারা। এসময় সাথে ছিলেন-পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী, গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেঁজুতি ধর, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মফিজুন নূর খোকা। এসময় তারা ভাঙ্গন ঠেকাতে তড়িৎ গতিতে ব্যবস্থা গ্রহন সহ ক্ষতিগ্রস্ত দের সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।

পিবিএ/মোঃ হুমায়ুন কবির/এসডি

আরও পড়ুন...