মোহাম্মদ আলম : সাহেদকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন সরকার আরো একবার প্রমান করলো উপমহাদেশের প্রাচীন এই দলে প্রতারকদের ঠাঁই হবে না। সবরকমের দূর্ণীতি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স।
সম্রাট, খালেদ, শামিম, রুপন, এনু, পাপিয়া সবশেষ সাহেদ পুলিশের কষ্টটডিতে। একের পর এক গডফাদার টাইপের দলীয় নেতাকে চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার, এটা একমাত্র আওয়ামী লীগের পক্ষেই সম্ভব। এখনো যারা দখলবাজী, হত্যা, লুটপাট, দূর্ণীতি ও দূর্বৃত্ত্বায়নকে আকড়ে আছেন, তারা সাবধান হোন! কোনভাবেই পার পাবেন না।
রিজেন্ট হাসপাতালে র্যাবের অভিযানের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক নেতিবাচক মন্তব্য দেখা গেছে। কেহ কেহ এমনও মন্তব্য করেছে যে তার দোসরদের সহযোগীতায় সাহেদ পালিয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশ কর্তব্য পরায়নতার সর্বোচ্চ নজির স্থাপন করেছে। তারা বার বারই বলেছে সাহেদের পালানোর সব পথ বন্ধ। আজ ভোর সাড়ে ৫ টায় সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে তাদের দায়িত্ব সম্পন্ন হলো।
তবে এটাও লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে কোনভাবেই আইনের মারপ্যাচে সে(সাহেদ) পার না পায়। আদালতের মাধ্যমে তার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
সাহেদের অপরাধ দেশ দ্রোহীতার শামিল। এই করোনা মহামারি কালে মানব জাতির সাথে প্রতারণা করেছে সাহেদ। সাহেদের সার্টিফিকেট জালিয়াতির কারনে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। ইতমধ্যে ইতালি সরকার ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তাছাড়া আরব আমিরাত, জাপান, কোরিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে বাংলাদেশের সাথে বিমান চলাচল বন্ধ।
সাহেদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক মেসেজ যাবে। এখানে প্রতারকদের ঠাই নেই। সম্পূর্ণ নতুন এই বিপর্যয় করোনা কালে প্রতিটি দেশই নানা ভাবে নাস্তানাবুদ হয়েছে। তাই শুধুমাত্র একটি ঘটনায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ সমিচিন হবে না। ইতালি সরকার বা অন্যান্য দেশকে এটা অনুধাবন করতে হবে। আমরা প্রত্যাশা করি খুব শিঘ্রই প্রবাসীরা নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরতে পারবেন।
পিবিএ/মোহাম্মদ আলম