পিবিএ, মনিরুল ইসলাম মিহির,মানিকগঞ্জ: এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা দ্বিতীয় পত্রে ভিন্ন সেট প্রশ্নে ৩৩১ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়ার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার দায়ে মানিকগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র সচিবসহ ৩ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ৩৩১ শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র বোর্ডের নির্দেশে আলাদা করে ঢাকা বোর্ডে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাহাদৎ খন্দকারকে আহবায়ক করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তাকে নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অব্যহতি প্রাপ্তরা হলেন- কেন্দ্র সচিব মানিকঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজিনা আক্তার, সহকারী কেন্দ্র সচিব এএসএম সাইদুর রহমান ও হল সুপার আব্দুর রফিক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০১৯ সালের সিলেবাস অনুযায়ী রবিবার অনুষ্ঠেয় বাংলা দ্বিতীয় পত্র (আবশ্যিক) পরীক্ষা ০৩ নং সেটের প্রশ্নপত্রে নেয়ার নির্দেশনা থাকলেও মানিকগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩৩১ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়া হয় ০৪ নং সেটের প্রশ্ন পত্র দিয়ে। পরীক্ষার পর পৃথক ২ সেট প্রশ্নে এক ও অভিন্ন বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি জানা জানি হওয়ার পর তা প্রশাসনের নজরে আসে। জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস ঘটনা অবগত হওয়ার পর তাৎক্ষনিক ভাবে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন।
তদন্ত কমিটির আহবায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সাহাদৎ খন্দকার বলেন, তদন্ত শেষ পর্যায়ে। প্রতিবেদন তৈরী করা হচ্ছে। তিনি মনে করেন, বোর্ড নির্ধাারিত ৩নং সেটের প্রশ্নপত্রের পরিবর্তে ৪ নং সেটের প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা নেয়ায় বিষয়টি মূলত কেন্দ্র সচিব সহ সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে চরম অবহেলা ও গাফিলতি প্রকাশ পেয়েছে।
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, ভিন্ন সেটে পরীক্ষা দেওয়া ৩৩১জন শিক্ষার্থীরা যেন কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় তার জন্য ঢাকা বোর্ডের নির্দেশে উত্তরপত্রগুলো আলাদা করে বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। বোর্ডের কর্তৃপক্ষ এসব শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র আলাদাভাবে মূল্যায়ন করবেন। এছাড়া তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটিও বোর্ডের বরাবর পাঠানো হবে। বোর্ড কর্তৃপক্ষ আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
পিবিএ/এমআইএম/জেডআই