পিবিএ,ডেস্ক: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে সুপারিশমালাসহ ৫২ পৃষ্ঠার একটি চিঠি পাঠিয়েছে দুদক। সরেজমিন পরিদর্শনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেসব অনিয়ম, দুর্নীতি, বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনা পাওয়া গেছে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতেই এ চিঠি।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনিয়মের তিনটি কারণ চিহ্নিত করে তা দূর করতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সম্প্রতি চট্টগ্রামের কয়েকটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় আকস্মিক পরিদর্শন করে প্রতিবেদন প্রণয়ন করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, বিশেষ করে শিক্ষা ব্যবস্থায় অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলা দূর করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার সুপারিশ করে দুদকের টিম।
পরিদর্শনকালে ইকবাল মাহমুদ কাট্টলী নুরুল হক চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ১১ জন শিক্ষকের মধ্যে ৯ জনকে অনুপস্থিত পান। শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষে অলসভাবে বসেছিলেন এবং ঘোরাঘুরি করছিলেন। অন্যদিকে ভাটিয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ১১ জন শিক্ষকের মধ্যে ২ জনকে অনুপস্থিত পাওয়া যায়। ভাটিয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী মাজহারুল ও নয়ন ২৬ জানুয়ারি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও তাদের উপস্থিত দেখানো হয়েছে।
দুদক চেয়ারম্যান চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার শীতলপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত পাননি। তাছাড়া শীতলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণী থেকে এক বা দুই বিষয়ে অনুত্তীর্ণ ২৭ জন শিক্ষার্থীকে জনপ্রতি দুই হাজার টাকার বিনিময়ে দশম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করার প্রমাণ পেয়েছেন।
পিবিএ/এফএস